স্টাফ রিপোর্টার: উৎকর্ষের পরীক্ষায় ডাহা ফেল করল বাঙালির অতি পরিচিত গ্যাস-বুকজ্বালার ওষুধ। রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের আধিকারিকরা ধরলেন ভেজাল, ‘র্যানট্যাক আরডি’ (Rantac RD)। যার ব্যাচ নম্বর YCRE23010। এই ওষুধের মূল কম্পোজিশন ডম্পেরিডনো (৩০ এমজি) এবং রেবেপ্রাজল (২০এমজি)। মূলত অ্যাসিডিটি, বুকজ্বালা গ্যাস-অম্বলের জন্য এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়। রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড সূত্রে খবর, কোচবিহার থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল এই র্যানট্যাক আরডি। জানা গিয়েছে, বাংলায় এই ভেজাল ওষুধ মিললেও তা এসেছে ভিনরাজ্য থেকে।
হিমাচল প্রদেশ থেকে এই ওষুধ ঢুকেছে বাংলায়। হিমাচল প্রদেশের সোলানের বাড্ডিতে এই ওষুধ তৈরির কারখানা। নির্মাণ সংস্থার নাম ইনোভা ক্যাপট্যাব লিমিটেড। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য অধিকর্তা, স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তার কাছে এর রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। প্রতিটি পাইকারি এবং খুচরো ওষুধ বিক্রেতাকে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট এই ব্যাচ নম্বরের ওষুধ যেন কোনওভাবেই বিক্রি করা না হয়। কোনও ওষুধের দোকানে এই ব্যাচ নম্বরের ওষুধ থাকলে অবিলম্বে তা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড। রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের ইন্সপেক্টর স্বপনকুমার রায় বাজেয়াপ্ত করেছিলেন এই ওষুধ। সন্দেহ হওয়ায় তা পরীক্ষা করা হয় ল্যাবরেটরিতে। এদিকে শহর কলকাতার দক্ষিণ দমদমে তৈরি হওয়া একটি ওষুধও মান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল সূত্রে খবর, র্যাবেপ্রাজোল ট্যাবলেট (ব্যাচ নম্বর ২৩৭৮০২৬) উৎকর্ষ পরীক্ষায় ফেল করেছে। এই র্যাবেপ্রাজোল ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল বাঁকুড়া থেকে। দক্ষিণ দমদমের যে সংস্থা এই ওষুধ তৈরি করেছে তার নাম অরিও ফার্মা ল্যাবরেটরিজ প্রাইভেট লিমিটেড। ঠিকানা জপুর রোড, কলকাতা ৭৪। এই একই সংস্থার তৈরি ভিন্ন ব্যাচ নম্বরের (২৩৭৮০২৮) র্যাবেপ্রাজোল ওষুধ ধরা পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকেও। সে ওষুধও মান পরীক্ষায় ডাহা ফেল। অ্যাসিডিটির সমস্যায় অত্যন্ত পরিচিত ওষুধ এই র্যাবেপ্রাজোল। একের পর এক ভেজাল ওষুধ বাজেয়াপ্ত হওয়ায় চিন্তিত চিকিৎসকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.