ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার রাতে রাজেশ ওরাংয়ের মৃতদেহ বীরভূমের বাড়িতে এসে পৌঁছনোর পরে থমথমে হয়ে উঠেছিল গোটা এলাকা। উপস্থিত সকলের চোখেই জল এসে গিয়েছিল। দেশরক্ষার কাজে আত্মবলিদান দেওয়া তরতাজা যুবকের স্মৃতিতে নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল পরিবেশ। তার মাঝেই অনেকের পকেটে বেজে উঠছিল মোবাইল ফোনের রিং। কেউ কেউ ফোন বের করে কথা বললেও অনেকেই নাকি ফোন বের করতে পারছিলেন না লজ্জায়!
একই রকম অস্বস্তিতে পড়েছেন বীরভূমের অনেক (BJP) নেতাই। কারণ, সেই চিনা মোবাইল। বুধবারই লাদাখের ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতায় বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে বিজেপির তরফে। আহ্বান জানানো হয়েছে চিনা পণ্যের বয়কটের। কিন্তু, বাস্তব চিত্রটি হচ্ছে রাজ্যের অন্য অনেক এলাকার মানুষের মতো বীরভূমের বিজেপি নেতা-কর্মীদের পকেটে রয়েছে চিনা কোম্পানির মোবাইল( Mobile) ফোন। জেলার ছেলে শহিদ রাজেশ ওরাংয়ের কথা চিন্তা করে সেই মোবাইলগুলি অনেকেই পকেট থেকে বের করতে পারছেন না লজ্জায়! কেউ কেউ হাতে টাকা পেলে ফোন বদলানোর সিদ্ধান্ত নিলেও বেশিরভাগই সমস্যা পড়েছেন। কারণ, লকডাউনের এই বাজারে টাকা জোগাড় করে মোবাইল কেনার দুঃসাহস অনেকেরই যে নেই!
যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘চিনের পণ্য বয়কটের বিষয়ে দলের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও আহ্বান জানানো হয়নি। লাদাখের ঘটনার পর মানুষই নিজেদের ইচ্ছায় রাস্তায় নামছেন। চিনা পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়া হচ্ছে।’ তাঁর কথার সঙ্গে সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অনেক নেতাই বলছেন, দুম করেই বদলেই তো ফোন বা অন্য দামি জিনিস বদলে ফেলা যায় না। তবে আগামীদিনে চিনের তৈরি কোনও জিনিস আমরা কিনব না বলে ঠিক করেছি।
এই ঘটনার কথা শুনে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিজেপি বিরোধীরা। কেউ কেউ বলছে, গত ১২ জুনও চিনের সঙ্গে চুক্তি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিভিন্ন সরকারি কাজের বরাতও চিনের বিভিন্ন কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে। সেখানে দেশের সাধারণ মানুষের কাছে চিনা পণ্য বয়কটের ডাক দিয়ে কী হবে? শুরু করতে হলে সরকারি স্তর থেকেই চিনকে ছেঁটে ফেলতে হবে। চিনের কোনও জিনিস ভারতে মাটিতে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। এই অবস্থায় যা অসম্ভব!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.