প্রতীকী ছবি
অর্ণব দাস, বারাসত: স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরতেই শ্যালিকার উপর নজর। নাবালিকাকে ফুঁসলিয়ে নিজের কাছে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠল গুণধর জামাইবাবুর বিরুদ্ধে। মেয়ের হদিশ না পেয়ে নির্যাতিতার মা পুলিশের দ্বারস্থ হলে প্রকাশ্যে আসে গোটা বিষয়টা। গ্রেপ্তার করা হয়েছে গুণধরকে। ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর।
জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম তুষার ব্যাপারী। অশোকনগর থানার মানিকতলার বাসিন্দা তিনি। কিছুদিন ধরেই স্ত্রীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল যুবকের। এতেই নাবালিকা শ্যালিকার উপর নজর পড়ে তাঁর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পনেরোর নাবালিকার মা গত বছর নভেম্বর মাসে মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অশোকনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তদন্তে নেমে সম্প্রতি নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, জামাইবাবু তুষার তাকে ফুঁসলিয়ে প্রথমে দিঘায় বেড়াতে নিয়ে যান। তারপর হাবড়া থানা এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন একসঙ্গে। সেখানে লাগাতার তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। বিষয়টা জানার পরই অভিযুক্তর খোঁজ শুরু করে পুলিশ। শেষে রবিবার সকালে তুষারকে মানিকতলা ভ্যান স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এবিষয়ে ধৃতের মা বলেন, “আমাদের ফাঁসানোর জন্যই ওরা (ছেলের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা) মেয়েকে পাঠাতো। শুধু আমার ছেলে নয়, ওদের শাস্তি হোক।” অন্যদিকে, গোবরডাঙা থানা এলাকায় ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী প্রৌঢ়কে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতের নাম দুলাল হালদার (৫৬)। অভিযোগ, বছর খানেক আগে তিনি বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে বছর এগারোর নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি কাউকে বললে নির্যাতিতাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.