তছনছ হয়েছে আলমারি। নিজস্ব চিত্র
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: বাবার মৃত্যুসংবাদ পেয়ে সপরিবারে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন শিক্ষক রামশঙ্কর মণ্ডল। তিনদিন পর বাড়ি ফিরে চক্ষুচড়কগাছ ওই পরিবারের সদস্যদের। সদর দরজায় তালা নেই। গোটা বাড়ি তছনছ করেছে দুষ্কৃতীরা! বাড়ি থেকে চুরি হয়েছে নগদ ১৫ ভরি সোনার গয়না, নগদ ১ লক্ষ টাকা ও আরও একাধিক জিনিস। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের রূপনগরে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
বাসন্তী হাইস্কুলের সংস্কৃত বিষয়ের শিক্ষক রামশঙ্কর মণ্ডল। গত ২১ বছর ধরে তিনি সপরিবারে সোনারপুর থানা এলাকার রূপনগরে থাকেন। তাঁর পৈতৃকবাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাঙাবেলিয়ায়। গত ১৩ জুন খবর আসে তাঁর বাবা মারা গিয়েছেন। দুঃসংবাদ শুনে সোনারপুরের বাড়ি তালাবন্ধ করে সপরিবারে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন রামশঙ্কর মণ্ডল। দাহ ও অন্যান্য কাজকর্ম সেরে গতকাল, সোমবার নিজেদের বাড়িতে তাঁরা ফিরেছিলেন। সদর দরজার তালা খুলতে গিয়েই খটকা লাগে ওই পরিবারের। দেখা যায়, দরজায় তালা লাগানো নেই। ভিতরে গিয়ে অন্যান্য ঘরে ঢুকতেই চক্ষুচড়কগাছ তাঁদের।
দেখা যায়, নীচতলার একটি ও দোতলার তিনটি ঘরের প্রত্যেকটি দরজারই তালা ভাঙা! ঘরের ভিতর লণ্ডভণ্ড অবস্থা! তিনটি স্টিলের আলমারি ও দুটি শোকেস ভাঙা। আলমারিতে প্রায় ১৫ ভরি গয়না ও নগদ ১ লক্ষ টাকা ছিল। সব কিছুই লুট হয়েছে বলে অভিযোগ। এছাড়াও বাড়ির আরও একাধিক জিনিস চুরি গিয়েছে বলে দাবি ওই পরিবারের। দেখা যায়, একতলার বাথরুমের জানলার গরাদ কাটা। এরপরেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। সোনারপুর থানার পুলিশ ওই বাড়িতে তদন্তে যায়। প্রাথমিকভাবে অনুমান, বাথরুমের জানলার ওই গরাদ ভেঙেই দুষ্কৃতীরা বাড়িতে হানা দিয়েছিল। ওই শিক্ষকের বাড়ি যথেষ্ট ঘিঞ্জি এলাকায়। তা সত্ত্বেও কীভাবে এমন চুরি হতে পারে? সেই প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনা জানাজানি হতে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। লুটপাটের কোনও শব্দও কেউ শোনেনি বলে জানা গিয়েছে।
ওই শিক্ষকের স্ত্রী অসুস্থ। তাঁর অস্ত্রোপচারের জন্য নগদ ও গয়না বাড়িতে আনা হয়েছিল। এমনই জানিয়েছেন রামশঙ্কর মণ্ডল। পুলিশ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের খোঁজ চালাচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.