দেব গোস্বামী, বোলপুর: জামিনে মুক্ত হয়ে জেলায় ফেরার পর প্রথমবার মন্দিরে পুজো দিতে গেলেন অনুব্রত মণ্ডল। সঙ্গে কন্যা সুকন্যা ও তাঁর বান্ধবী সুতপা পাল। রবিবার কঙ্কালীতলায় মায়ের চরণে পুজো দিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। অঝোরে কেঁদে ফেলেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। পুরোহিতরা তাঁকে ঘিরে সামলান। এদিন নিজের পরিবারের পাশাপাশি অনুব্রত পুজো দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মেয়ের বান্ধবী সুতপার নামেও।
রবিবার দুপুরে ৫১ পীঠের এক পীঠ কঙ্কালীতলায় পুজো দিতে যান অনুব্রত। এই মন্দির তাঁর বাড়ির কাছেই। মন্দিরে ঢুকে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তাঁকে সামলান পুরোহিতরা। পরে অবশ্য আবেগ সামলে নেন তিনি। পুজো দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি জানান, ”মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত সতীপীঠকে সাজিয়েছেন। এমন কোনও পীঠস্থান নেই যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর্থিক সাহায্য করেননি। তিনি বক্রেশ্বরেও টাকা দিয়েছেন, পাথরচাপড়িতে টাকা দিয়েছেন। আমি বীরভূম জেলায় সমস্ত মন্দিরেই যাব। কঙ্কালীতলায় বাকি যা কাজ আছে, পুজোর পরে করে দেওয়া হবে।”
এদিনও তাঁকে ঘিরে ছিলেন অনুগামীরা। আর মেয়ে সুকন্যা এক মুহূর্তের জন্য বাবার হাত ছাড়েননি। দিল্লি থেকে ফেরার পর থেকেই সুকন্যা সবসময় তাঁর সঙ্গে রয়েছেন, দেখভাল করছেন অভিভাবকের মতোই। এদিন দেখা গেল, সুকন্যার এক হাত বাবার হাত ধরা আরেক হাত বান্ধবী সুতপার। ২ বছরের কারাবাসে অনুব্রতর শারীরিক অবস্থার বেশ খানিকটা অবনতি হয়েছে। পায়ের সমস্যা বেড়েছে। চিকিৎসার জন্য তাঁর কলকাতায় আসার কথা। জেলায় ফিরে গিয়ে পুজোর পর থেকে সংগঠনের কাজে নামবেন তিনি। শনিবার অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করার পর এমনই জানিয়েছিলেন তাঁর ‘শিষ্য’ তথা বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। অনুব্রত নিজে অবশ্য এ বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.