Advertisement
Advertisement
অনুব্রত

ব্যবধান বাড়াতে এবার ইঞ্জেকশন ও ওষুধ দেওয়ার নিদান অনুব্রতর

অনুব্রতের নতুন নিদানে ভয় পাবে ভোটাররা, অভিযোগ বিরোধীদের।

Anubrata Mondal said about Injection and medicine for increasing vote.
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:April 3, 2019 9:49 pm
  • Updated:April 3, 2019 9:49 pm  

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ভোটের ব্যবধান বাড়াতে ভোটারদের ইঞ্জেকশন ও ওষুধের দাওয়াই দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। রামপুরহাটের দুটি জনসভা থেকে এমন দাওয়াই দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। এরপরই ফের বিতর্ক শুরু হয়েছে তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে নিয়ে।

Advertisement

নকুলদানা নিয়ে বিতর্ক ছিল। কমিশনের তরফ থেকে নোটিসও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তারপরও যে তিনি বদলানোর নয় তা ফের একবার প্রমাণ করলেন অনুব্রত মণ্ডল। বুধবারের নির্বাচনী জনসভা থেকে তিনি বলেন, প্রসাদী নকুলদানা তিনি জেলাশাসক তথা জেলা মুখ্য নির্বাচন আধিকারিককেও পাঠিয়ে দেবেন। পাশাপাশি রামপুরহাটের খরবোনা ও চাকপাড়ায় দুটি জনসভাতেই তৃণমূল প্রার্থীর জয়ের ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত বলে দাবি করেন।

অনুব্রত বলেন, “বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে প্রায় ১৭ লক্ষ ভোটার। ভোট পড়বে সাড়ে ১৪ লক্ষ। তার মধ্যে তৃণমূল প্রার্থী পাবেন ১২ লক্ষ। বাকি বিরোধীরা। তিনি আরও দাবি করেন, বীরভূম ও বোলপুর দুটি কেন্দ্রেই তাঁর জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। শুধু জয়ের ব্যবধান বাড়ানোর জন্যই তিনি জনসভা করছেন। এই ব্যবধান বাড়াতে যে ধরনের ইঞ্জেকশন দরকার তা দেওয়া হবে। তাতে যে ধরনের সিরিঞ্জ ব্যবহার করতে হবে তত বড় তিনি ব্যবহার করবেন। যে ওষুধ দিলে তাড়াতাড়ি রোগ ভাল হবে সেই ওষুধ দেওয়া হবে।”

[আরও পড়ুন-মোদিকে নিয়ে বাঁধভাঙা আবেগ, সভার পর ব্রিগেডের মঞ্চে সেলফি তোলার হিড়িক]

তার এই বক্তব্যের ভিত্তিতে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন রাজনীতিবিদরা। অন্যদিকে বিরোধীদের দাবি, ফের স্বমহিমায় ফিরছেন অনুব্রত মণ্ডল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে থাকার হুমকিও দিচ্ছেন। নিজেই বেঁধে দিচ্ছেন বিরোধীরা কত ভোট পাবে। পাশাপাশি এদিন সরাসরি ইঞ্জেকশন দেওয়ার কথা বলায় ফের গ্রামে গ্রামে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াবে বলেও আশঙ্কা তাদের।

[আরও পড়ুন-রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে খ্যাপা ষাঁড়, বাগে পেতে নাস্তানাবুদ দমকলকর্মীরা]

এপ্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক মনসা হাসদা বলেন, “ওর মতন কুরুচিকর মন্তব্য করা আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি নয়। তবে আমরাও চুপ করে বসে নেই। অভিযোগ করেছি। এখন কমিশন কী পদক্ষেপ নেয় তা দেখার অপেক্ষায়।” বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, “প্রতিদিন নানা রকম ছলে-বলে-কৌশলে একরকম হুমকি দিচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল। পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে দেয়নি। আমরা লড়াই করেছি। লোকসভা ভোটেও যদি মানুষ নিশ্চিন্তে নির্ভয়ে তাদের ভোট দিতে না পারে তাহলে মানুষের বিশ্বাস উঠে যাবে। আমরা এই সব বক্তব্য নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে অবশ্যই অভিযোগ করব। দাবি জানাব জেলার মানুষকে ভোটে নিশ্চয়তা দিতে হবে।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement