ছবি: মৈনাক মুখোপাধ্যায়
শেখর চন্দ্র, আসানসোল: পুজোর আগেই স্টুডিও থেকে চুরি গেল মা দুর্গার মুখ! চাঞ্চল্য আসানসোলে। জানা গিয়েছে, চক্ষুদান হয়ে যাওয়ার পর মূর্তির কাঠামো থেকে উপড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দুটি দুর্গাপ্রতিমার মুখ। আসানসোলের মহিশীলা কলোনির পালপাড়ায় মৃৎশিল্পী বাপী পালের কারখানা থেকে উধাও হয়েছে প্রতিমার মুখ দুটি। এদিকে চুরি যাওয়া ওই মুখ দুটি উদ্ধার হয়েছে আর এক মৃৎশিল্পী হরিরঞ্জন পালের স্টুডিও থেকে। চুরির অভিযোগে খুঁটিতে বেঁধে মার পরিযায়ী শ্রমিককে।
শুক্রবার সকালে দেখা যায়, বাপী পালের স্টুডিওর ভিতর সম্পূর্ণ তৈরি হওয়া দুটি প্রতিমা থেকে মা দুর্গার মুখ উধাও। লক্ষী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ এমনকী মহিষাসুরের মূর্তি এবং মুখ অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পরেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। শুরু খোঁজাখুঁজি। এরপরেই চুরি যাওয়া মুখ দুটি উদ্ধার হয় হরিরঞ্জন পালের কারখানায়। হরিরঞ্জনের কারখানার পরিযায়ী শ্রমিক প্রীতম ঠাকুর এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। হরিররঞ্জন পালের দাবি, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। প্রীতম ঠাকুর নামের ওই পরিযায়ী শ্রমিক কারখানায় দু’মাস ধরে কাজ করছে। বৃহস্পতিবার সারাদিন সে উধাও ছিল। হরিরঞ্জনের দাবি, প্রীতমের চালচলন কিছুটা অস্বাভাবিক ধরণের।
ঘটনা জানাজানি হতেই প্রীতমকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে রাখা হয়। খবর পেয়ে এলাকায় আসে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। অভিযুক্ত শ্রমিককে উদ্ধার করে নিয়ে যায় থানায়। তিনি ঝাড়খণ্ডের জসিডির বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, চুরির কথা স্বীকার করেছে সে।
কেন ওই মুখ দু’টি চুরি করে প্রীতম? মৃৎশিল্পী বাপি পালের দাবি, ওই দু’টি মা দুর্গার মুখের ছাঁচ বা ডায়াস অন্যান্য প্রতিমার তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন রকমের। বাপী জানিয়েছেন, পালপাড়ার অন্য কোনও প্রতিমার ছাঁচের সঙ্গে এর মিল নেই। ছাঁচের বা ডায়াসের লোভেই মুখ দুটি উপরে ফেলা হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। যদিও তাঁর দাবি, এই ঘটনা ওই পরিযায়ী শ্রমিক একা ঘটাননি। তাঁর সন্দেহ, আরও কেউ রয়েছে এই ঘটনার পিছনে। প্রীতমকে দিয়ে এই চুরি করানো হয়েছে। বাপী পালের দাবি, মূর্তি দুটি শুক্রবারই পুজো কমিটির হাতে হস্তান্তর করার কথা ছিল।” এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.