প্রতীকী ছবি
অর্ণব দাস, বারাকপুর: পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রী ও মেয়েকে খুনের চেষ্টা করে ‘আত্মঘাতী’ হলেন স্বামী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নিমতা এলাকায়। মৃতের নাম গৌরাঙ্গ আচার্য ওরফে বাবু। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর দমদম পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতাপগড় প্রাথমিক স্কুল সংলগ্ন এলাকায় গৌরাঙ্গ আচার্য স্ত্রী রুবি ও মেয়ে তৃষাকে নিয়ে থাকতেন। বছর ৬০-এর গৌরাঙ্গ এলাকার একটি ওষুধ দোকানে কাজ করতেন। পাশাপাশি পাড়ার একটি মন্দিরে পুজো করার পাশাপাশি গৃহশিক্ষকতাও করতেন। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, প্রায় নিত্যদিন ওই বাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি-বিবাদ চলত। আজ, শুক্রবার সকাল থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল।
অশান্তির খবর শুনে আনুমানিক বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ রুবির মা-বাবা প্রতাপগড়ের ওই বাড়িতে যান। অনেক ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়াশব্দ পাননি। একসময় তাঁরা দরজার জোরে ধাক্কা দিলে সেটি খুলে যায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই বৃদ্ধ দম্পতি। দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছেন তাঁদের কন্যা রুবি। ঘরের ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় গৌরাঙ্গকে। দাদু-দিদার গলা শুনে অন্য একটি ঘর থেকে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে আসে গৌরাঙ্গ-রুবির নাবালিকা কন্যা তৃষা। তারও মাথায় গভীর ক্ষত দেখা যায়। সারা শরীর রক্তাক্ত হয়েছিল।
ঘটনার কথা শুনে ছুটে যায় প্রতিবেশীরা। তিনজনকেই উদ্ধার করে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর দেওয়া হল নিমতা থানায়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা গৌরাঙ্গকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্ত্রী ও নাবালিকা কন্যার আঘাত গুরুতর। তাঁরা হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, অশান্তি চলাকালীন ভারী কোনও বস্তু দিয়ে প্রথমে স্ত্রীর মাথায় বেশ কয়েক বার আঘাত করেন তিনি। এরপর মেয়ের মাথাতেও আঘাত করা হয়। পরে ‘আত্মঘাতী’ হন গৌরাঙ্গ। ঘর থেকে একটি পাঁচ কেজি ওজনের বাটখারা উদ্ধার হয়েছে। সেটি দিয়েই হামলা চালানো হয়েছে বলেই অনুমান পুলিশের। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.