Advertisement
Advertisement
Hooghly

আইনি ঝামেলায় হোমে শিশুকন্যা, হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের হস্তক্ষেপে মেয়ে ফিরে পেলেন বাবা-মা

দীর্ঘদিন বাদে মেয়েকে ফিরে পেলেন বাবা-মা।

Baby girl in home due to legal troubles, parents get back daughter after long time in Hooghly
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:June 18, 2025 2:02 pm
  • Updated:June 18, 2025 2:02 pm   

সুমন করাতি, হুগলি: শিশুকন্যার শারীরিক সমস্যায় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন বাবা-মা। মেয়ে কিছুটা সুস্থও হয়ে উঠে। হঠাৎ জরুরি কাজে দেশের বাড়ি ওড়িশায় যেতে হয় দম্পতিকে। শিশুকন্যার দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়ে যান দাদা-বউদিকে। কিন্তু হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার সময়ে বাচ্চাটির তার জেঠু-জেঠিমাকে ‘মা-বাবা’ সম্বোধন করতেই সন্দেহ জাগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। শিশুকন্যাকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির তত্ত্বাবধানে পাঠানো হয় হোমে। কিছুতেই মেয়েকে ফিরিয়ে আনতে পারছিলেন না তাঁরা। অবশেষে হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা আইনজীবী নির্মাল্য চক্রবর্তীর হস্তক্ষেপে মেয়কে কাছে ফিরে পেলেন তারা বাবা-মা।

Advertisement

অশোক জেনা ও মা অরূপমা জেনা হুগলির বাসিন্দা। আদি বাড়ি পড়শির রাজ্য ওড়িশায়। এখানে পরিবার নিয়ে থাকলেও ওড়িশায় যাতায়াত রয়েছে। ৪ মে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে শিশুকন্যাকে ভর্তি করান। পরে অশোক তার দাদা ও বউদিকে বাচ্চা মেয়েটিকে দেখশোনা দায়িত্ব দিয়ে কিছুদিনের জন্য ওড়িশা যান। একদম ছোট থেকেই এই জেঠু-জেঠিমাকেও ‘বাবা-মা’ বলে ডাকে মেয়েটি। হাসপাতালে তাঁদের সেই সম্বোধন করতেই তৈরি হয় সমস্যা।

গত সাত তারিখ খবর পেয়েই ফিরে আসেন বাচ্চাটির বাবা ও মা। এরপর শুরু হয় মেয়েকে ফিরে পাওয়ার জন্য বাবা-মায়ের লড়াই। পরিচয়পত্র, নথিপত্র নিয়ে একাধিক দপ্তরে দৌড় ঝাঁপের পরেও মেয়েকে ফিরে পাচ্ছিলেন না অশোক ও অরূপমা। এমনকী বাচ্চার সঙ্গে দেখাও করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা জানতে পেরে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নির্মাল্য চক্রবর্তী। আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে অবশেষে শিশুটিকে ফিরিয়ে দেন তার মা-বাবার হাতে। মেয়েকে ফিরে পেয়ে আবেগে ভাসেন অশোক ও অরূপমা।

এই বিষয়ে নির্মাল্য চক্রবর্তী জানান, “একটা সামান্য ভুল বোঝাবুঝির কারণে বাচ্চাটি তার বাবা মায়ের থেকে দূরে চলে যায়। বাবা মায়ের কাছে সমস্ত নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও তাঁদের সঙ্গে বাচ্চাটির দেখা করতেও দেওয়া হচ্ছিল না। বিষয়টি জানতে পেরে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে কথা বলি। একটা বাচ্চাকে তার বাবা মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরে সত্যি ভালো লাগছে।” নির্মাল্যবাবু ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাঁশবেড়িয়ার উপপুরপ্রধান শিল্পী চট্টোপাধ্যায়। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দুর্গা রাউত ও জেলা প্রশাসনের কর্তাদেরও।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ