Advertisement
Advertisement
Cooch Behar

উর্দি পরে জঙ্গি নাশকতার আশঙ্কা? সেনার পোশাক বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি কোচবিহারে

পরিচয়পত্র দেখে তবেই সেনা পোশাক বানানোর নির্দেশ প্রশাসনের।

Ban on sale of army uniforms imposed in Cooch Behar

বাজারের বিভিন্ন দোকানে তল্লাশি অভিযান পুলিশ আধিকারিকদের। নিজস্ব চিত্র

Published by: Suhrid Das
  • Posted:May 11, 2025 12:07 pm
  • Updated:May 11, 2025 12:07 pm  

বিক্রম রায়, কোচবিহার: সেনা জওয়ানের পোশাক পড়ে অতীতে জম্মু-কাশ্মীরে একের পর এক হামলা চালিয়েছিল জঙ্গি সংগঠনগুলি। সেই ধরনের ঘটনা যাতে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া কোচবিহার জেলায় কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী ঘটাতে না পারে, সেজন্য বাড়তি সতর্ক জেলা প্রশাসন। সেই কারণে কোচবিহার জেলাজুড়ে বিভিন্ন বাজারে সেনার পোশাক বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। শুধু তাই নয়, ওইসব পোশাক যদি কোনও দর্জির বানান, সেটাও যেন পরিচয়পত্র দেখার পর তৈরি করা হয়। সেজন্য পুলিশ বিভিন্ন দোকানে গিয়ে বার্তা দিয়েছে।

Advertisement

পাশাপাশি দিনহাটা মহকুমার সীমান্ত এলাকায় ১৬৩ বিএনএসএস (ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা) জারি করা হয়েছে। সেখানে রাত ন’টা থেকে সকাল ছ’টা পর্যন্ত ব্যবসা এবং চলাচলের উপর বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে প্রশাসন। কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী বা পুলিশের যে পোশাক বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে যাতে সাধারণ কোনও নাগরিককে বিক্রি করা না হয়, সেজন্য সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। ওই পোশাক কোনও অশান্তি ছড়ানোর কাজে ব্যবহার হতে পারে। কাজেই সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। তাছাড়া বিভিন্ন সেতু এবং ফ্লাইওভারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে এবং সেখানে সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হয়েছে।

এদিন কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতিকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ভবানীগঞ্জ বাজারে অভিযান চালানো হয়েছিল। জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুরজকুমার ঘোষ জানিয়েছেন, বর্তমানে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের পরিস্থিতি চলছে। কোচবিহার জেলাও একটি সীমান্ত সংলগ্ন জেলা। স্বাভাবিকভাবে এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা মাথায় রেখে যাতে সেনাবাহিনী বা পুলিশের পোশাক বিক্রির ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করেন ব্যবসায়ীরা। সেজন্য সমস্ত ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement