Advertisement
Advertisement
Barasat Court

গ্রেপ্তারির পাঁচদিন পর পেশ অভিযুক্তকে, রাত ৩ পর্যন্ত চলল শুনানি, নজিরবিহীন মামলা বারাসত কোর্টে

থানার গাফিলতির জন্যই নজিরবিহীন কাণ্ড, দাবি অভিযুক্তের আইনজীবীর।

Barasat Court hears case in 3 Am at night
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:March 19, 2025 12:01 am
  • Updated:March 19, 2025 12:01 am   

অর্ণব দাস, বারাসত: গ্রেপ্তারের পাঁচ দিন পর অভিযুক্তকে বারাসত আদালতে পেশ করেছিল মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। নজিরবিহীন ভাবে সোমবার সেই মামলা চলল রাত তিনটে পর্যন্ত। শেষে জামিনও পেলেন অভিযুক্ত।

Advertisement

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, চেক বাউন্সের অভিযোগের গত ১২ মার্চ জ্যোতিপ্রকাশ দাসকে গ্রেপ্তার করেছিল মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। নিয়ম অনুযায়ী গ্রেপ্তারির চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে অভিযুক্তকে ১৭ মার্চ সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় একজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পেশ করে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। পরবর্তীতে সেখান থেকে এই মামলাটি স্থানান্তর করা হয় বারাসত আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে। রাত পৌনে ন’টা নাগাদ এই মামলার শুনানি শুরু হয়ে চলে রাত তিনটে পর্যন্ত।

মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ আদালতকে জানায়, অভিযুক্ত অসুস্থ থাকায় তাকে তাকে বারাসত সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। পরবর্তীতে কলকাতার আর জি করে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। এই কারণেই পাঁচদিন পর পেশ করা হয়েছে ধৃতকে। কিন্তু অভিযুক্তর অসুস্থতা এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার কোন তথ্যই মধ্যমগ্রাম থানার তরফে আদালতে জানানো হয়নি বলে অভিযোগ আইনজীবীদের।

এই প্রসঙ্গে এই মামলার আইনজীবী সুশোভন মিত্র বলেন, “হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার কোন তথ্যই মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ কোর্টকে জানায়নি। বিচারক ১ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে ধৃতকে জামিনের রায় শুনিয়েছেন। জুডিশিয়াল এবং প্রশাসনের সমন্বয়ের অভাবের জন্যই নজিরবিহীন ভাবে রাত তিনটে পর্যন্ত শুনানি চলেছে।” মধ্যমগ্রাম থানার গাফিলতির কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলেই অভিযোগ তুলেছেন বারাসত আদালতের আইনজীবী গৌরীশঙ্কর বল।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ