প্রতীকী ছবি
অর্ণব দাস, বারাসত: সিম কার্ড পোর্ট করার নামে নেওয়া হত ভোটার, আধার কার্ড। করানো হত বায়োমেট্রিক। আর এগুলি ব্যবহার করে তোলা হত নতুন সিম কার্ড। কিন্তু গ্রাহকরা তা জানত না, তাদের নানান বাহানা দেখিয়ে বলা হত সিম পোর্ট সম্ভব হচ্ছে না। আর এভাবেই ‘নতুন সিম কার্ড’ ব্যবহার করে চলত সাইবার প্রতারণা। তদন্তে নেমে এই প্রতারণা চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করল বারাসত সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
ধৃতরা হল ২৪ বছরের সমিরুল হক, ২৬ বছরের বকুল বিশ্বাস এবং ২৮ বছরের সইফুল গাজি। তাদের থেকে ২২টি সিম কার্ড-সহ ৩টি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসত, আমডাঙা-সহ অশোকনগরের গ্রামীণ এলাকায় প্রতারণার এই চক্রটি মূলত সক্রিয় ছিল। জনবহুল এলাকায় অস্থায়ীভাবে ছাতা খাটিয়ে কিংবা টোটোয় ঘুর- ঘুরে এই চক্র সিম কার্ড পোর্ট করাতে প্রচার করত। তাঁরা বোঝাত অন্য কোম্পানিতে সিম পোর্ট করালে ইন্টারনেট ডেটা-সহ বিভিন্ন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে বিশেষ সুবিধা পাওয়া যাবে। এর জন্য গ্রাহকদের থেকে প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করে বায়োমেট্রিক (হাতের আঙুলের ছাপ) নেওয়া হত। এরপরেই শুরু হত প্রতারণার খেলা।
গ্রাহকদের ওই নথি ব্যবহার করে তারা তুলত নতুন সিম কার্ড। অথচ গ্রাহকদের সিম কার্ড পোর্ট করা হত না। জিজ্ঞাসা করলে গ্রাহকদের বলা হত আধার কার্ডের সঙ্গে ছবি মিলছে না। এদিকে অন্যের নথিতে তোলা নতুন সিম কার্ড চলে যেত সাইবার অপরাধীদের কাছে। দিন কয়েক আগেই এই চক্রের সইফুলকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তাকে জেরা করেই বাকি দুজনের নাম জানতে পেরে অশোকনগর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা। সোমবার এনিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে বারাসতের এসডিপিও বিদ্যাগর অজিঙ্কা অনন্ত বলেন, “ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়ে সাইবার প্রতারণা চক্রের তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্রে আর কেউ যুক্ত রয়েছে কি না তা জানার চেষ্টা চলছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.