আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুর: শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ। পণের দাবিতে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে সিভিক ভলানটিয়ার স্বামীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে শ্বশুর,শাশুড়ি-সহ আরও চারজনকে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়ের মোহনপুরে।
[পড়া না পারার ‘অপরাধ’, বেলুড়ে খুদে ছাত্রের গায়ে গরম খুন্তির ছেঁকা শিক্ষিকার]
মৃতার নাম মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ঘোষ। তিনি উচ্চশিক্ষিতা। খুব অল্প বয়েসে বাবা-মা মারা গিয়েছিলেন। টিটাগড়ের মোহনপুরে এক আত্মীয়ের কাছে মানুষ হয়েছিলেন মীনাক্ষী। পাশের পাড়ায় থাকে চন্দন মুখোপাধ্যায়। ওই যুবক সিভিক ভলানটিয়ার। মীনাক্ষীর বাপের বাড়ির লোকের জানিয়েছেন, ভালবেসে চন্দনকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। বিয়ে হয়েছিল এবছরের ফ্রেরুয়ারিতে। কিন্তু, বিবাহিত জীবনে সুখী ছিলেন না ওই গৃহবধূ। তাঁর বাপের লোকেদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে পণের জন্য মীনাক্ষীর উপর অত্যাচার করত স্বা্মী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। শুক্রবার সকালে মোহনপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ঘোষের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর পালিয়ে গিয়েছিল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। চন্দন মুখোপাধ্যায় ও তাঁর পরিবারের লোকেদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার বাপের বাড়ির লোকেরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতার স্বামী-সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে টিটাগড় থানার পুলিশ। পুরোদস্তুর পুলিশকর্মী।
পুলিশকর্মী নন, মীনাক্ষীদেবীর স্বামী চন্দন মুখোপাধ্যায় সিভিক ভলানটিয়ার। কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে রাজ্য পুলিশে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁরা এই অস্থায়ী পদে চাকরি করেন, তাঁরা সিভিক ভলানটিয়ার নামে পরিচিত। তবে সরকারি চাকরির কোনও সুযোগ-সুবিধাই পান না সিভিক ভলানটিয়াররা। বেতনও অত্যন্ত কম।
[বন্যপ্রাণ-মানুষের সহাবস্থানে অনন্য সুন্দরবন, এল ইউনেস্কোর বিশেষ স্বীকৃতি ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.