Advertisement
Advertisement
Basirhat

চরম অভাবেও তাক লাগানো রেজাল্ট, মেধাবী ছাত্রের পাশে বসিরহাট জেলা পুলিশ

আপ্লুত ওই ছাত্র ও পরিবার।

Basirhat police helps student who cracked NEET despite poverty
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:August 7, 2025 12:48 pm
  • Updated:August 7, 2025 1:12 pm   

গোবিন্দ রায়: নুন আনতে পান্তা ফুরোনো সংসার। তা সত্ত্বেও মাধ্যমিকে ৯৬ শতাংশ নম্বর, উচ্চমাধ্যমিকে ৯০ শতাংশ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়েছে স্বরূপনগরের অঙ্কন মণ্ডল। নিট পরীক্ষায় তাঁর র়্যাঙ্ক ৮১০। কিন্তু এরপর কী করে পড়াশোনা এগোবে সেই চিন্তায় ঘুম উড়েছিল পড়ুয়ার। ত্রাতা হয়ে হাজির হলেন বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ড. হোসেন মেহেদি রহমান ও স্বরূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অরিন্দম হালদার-সহ পুলিশ জেলার অন্যান্য আধিকারিকরা। আপ্লুত ওই ছাত্র।

Advertisement

উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের পলতার বাসিন্দা অঙ্কন মণ্ডল। বাবা পীযুষ মণ্ডলের সম্পত্তি বলতে একফালি জমি। তাতে চাষ করেই দুই ছেলে, মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে সংসার। স্বাভাবিকভাবেই হিমশিম খেতে হত তাঁকে। ফলে ছেলে ভালো ফল করায় চিন্তা বেড়েছিল মণ্ডল দম্পতির। এরই মধ্যে দিন কয়েক আগে আচমকাই পলতা গ্রামে হাজির হন বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ড. হোসেন মেহেদি রহমান ও স্বরূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অরিন্দম হালদার-সহ পুলিশ জেলার অন্যান্য আধিকারিকরা।

কিন্তু কেন? জানা গিয়েছে, পুলিশ সুপারের কাছে ডাক্তারি পড়ার জন্য আর্থিক সাহায্য চেয়ে আবেদন করেছিলেন অঙ্কন। তাতেই সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে বসিরহাট জেলা পুলিশের আধিকারিকরা। মাননীয় পুলিশ সুপার ও জেলা পুলিশের তরফে কৃতী ও মেধাবী ছাত্র অঙ্কন মণ্ডলের হাতে ল্যাপটপ, স্টেথোস্কোপ-সহ পড়াশুনার একাধিক সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে আর্থিক সাহায্যও করা হয়েছে। ড. হোসেন মেহেদি রহমান বলেন, “জেলার দুঃস্থ পড়ুয়াদের পাশে পুলিশ বরাবরই ছিল এবং থাকবে।” অঙ্কনের বাবা বলেন, “বসিরহাটের পুলিশ সুপার যেভাবে আমার মত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, আমি কোনওদিন তাঁর ঋণ শোধ করতে পারব না। তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ থাকব।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ