রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: প্রত্যেক বছর মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। বনাঞ্চলের ক্ষতি হচ্ছে। ভুটানের জলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বাড়ি ঘর। মৃত্যু হচ্ছে পশুপাখিরও। কিন্তু তা সত্ত্বেও চুপ কেন্দ্র। বিষয়টির দিকে নজর দিচ্ছে না। সোমবার জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে দাঁড়িয়ে এমনটাই বললেন বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। পাশপাশি, ভুটান নদী কমিশনের দাবিতেও সরব হয়েছেন তিনি।
এদিন জলদাপাড়ার ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন এসেছিলেন বনমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন বন দপ্তরের প্রধান সচিব-সহ রাজ্যের আধিকারিকরাও। প্রত্যেকেই জলদাপাড়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। বনাঞ্চলের ভিতরে বনকর্মীদের কোয়ার্টার এবং তাঁদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন বনমন্ত্রী। জলদাপাড়ায় হলং নদীর উপর যেখানে সেতু ভেঙে পড়েছে, সেই এলাকাও এদিন পরিদর্শন করেন বিরবাহা।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “বন দপ্তরের কর্মীদের নিয়েও আমি খুব উদ্বিগ্ন ছিলাম। তাঁদের খোঁজ নিয়েছি। বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেগুলি দ্রুত আমরা মেরামতের চেষ্টা করছি। কয়েকটি বন্য প্রাণীরও মৃত্যু হয়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও অনেক এলাকায় প্রবেশ করা যায়নি। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে ফের পর্যটন চালু করা হবে।” এর মধ্য়েই জানা গিয়েছে, জলদাপাড়ার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার রিভিউ মিটিংয়ে বসবেন বন দপ্তরের কর্তারা।
উল্লেখ্য রবিবার জলদাপাড়ার ভিতর দিয়ে যাওয়া শিসামারা, শিলতোর্সা, হলং-সহ একাধিক নদী ফুলে ফেঁপে উঠে। ফলে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। ভেঙে পড়ে হলং নদীর উপরের সেতু। পাশাপাশি, ক্ষতি হয় বহু রাস্তারও। এমনকী নদীতে ভেসে গিয়েছে বহু বন্য প্রাণীও। এই ঘটনার জেরে লোকালয়ে চলে আসে গন্ডার, হরিণ-সহ একাধিক জন্তু। তাই গোটা এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এদিন জলদাপাড়ায় আসেন বনমন্ত্রী। এখানেই শেষ নয়। জলদাপাড়ায় পুড়ে যাওয়া হলং বাংলো দ্রুত নির্মাণের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন বিরবাহা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.