সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বীরভূমে আদিবাসী ছাত্রী মৃত্যুর পরতে পরতে রহস্য। মৃতার প্রতিবেশীদের দাবি, ধৃত শিক্ষক মনোজকুমার পাল নাকি দীর্ঘদিন ধরেই উত্যক্ত করত নাবালিকাকে। এমনকী বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিল সে। ছাত্রী রাজি না হওয়ায় রাগ জমে ধৃতের মনে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, সম্ভবত ওই রাগেই ছাত্রীকে খুন করে শিক্ষক। পুলিশের দাবি, ইতিমধ্যেই জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে ধৃত। তবে কারণ নিয়ে মুখ খোলেনি সে।
ঘটনার সূত্রপাত গত ২৮ আগস্ট। ওইদিন বীরভূমের রামপুরহাটের বাসিন্দা ওই সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী টিউশন পড়ার জন্য বেরিয়েছিল। আর ফেরেনি সে। রাতেই নাবালিকার মা থানায় অপহরণের অভিযোগ করেন। সন্দেহের তির ছিল ধৃত মনোজের দিকেই। এরপরই ওই শিক্ষকের গতিবিধি লক্ষ্য করেন পুলিশ আধিকারিকরা। সন্দেহ দৃঢ় হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তাতে সদুত্তর মেলেনি। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় মনোজকে। পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তারির চেপে ধরতেই জেরায় ভেঙে পড়ে মনোজ। সে খুনের কথা স্বীকার করেছে বলেই দাবি তদন্তকারীদের। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই নাকি উদ্ধার করা হয়েছে নাবালিকার পচাগলা দেহ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর ৪৫-এর মনোজ পেশায় স্কুল শিক্ষক। পাশাপাশি টিউশনও পড়াতো সে। মৃতা নাবালিকাও তার কাছে পড়তে যেত। স্থানীয়দের দাবি, বরাবরই নাকি মৃতাকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিত মনোজ। টিউশনে না গেলে, স্কুলে না গেলে অন্যদের কাছে খোঁজ খবর নিত। একপর্যায়ে নাবালিকাকে রীতিমতো উত্যক্ত করতে শুরু করে সে। এমনকী বিয়ের প্রস্তাবও দেয়। কিন্তু ছাত্রী রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয় সে। তারপরই খুনের ছক বলে অনুমান পুলিশের। প্রসঙ্গত, ধৃতকে আদালতে পেশ করা হলে তাঁকে ৯ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.