ফাইল ছবি।
নন্দন দত্ত, সিউড়ি: অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে গুরুতর জখম গৃহবধূ৷ কীভাবে আহত হলেন তিনি, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা৷ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজেই আপাতত চিকিৎসা চলছে গৃহবধূর৷ চিকিৎসকদের দাবি, মাথায় গভীর চোট রয়েছে তাঁর৷ তবে শারীরিক পরীক্ষায় মেলেনি ধর্ষণের প্রমাণ৷
ঘটনাটি ঘটে গত রবিবার। কাঁকরতলা থেকে নিজের বছর দুয়েকের অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে বাসে করে সিউড়ি আসছিলেন ওই গৃহবধূ। দুবরাজপুরে বাসটি কিছুক্ষণ যাত্রী তোলার জন্য অপেক্ষা করছিল। পরিবারের দাবি, সেখানেই অভিযুক্তের সঙ্গে ওই গৃহবধূর দেখা হয়। বাসের জানালার ধারে বসে থাকা ওই বধূকে বাস থেকে নেমে বাইকে করে সিউড়ি যাওয়ার প্রস্তাব দেয় সে৷ মহিলার সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান৷ নির্যাতিতার পরিবারের আরও দাবি, রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় কাঁকরতলা থানায় মৌখিকভাবে অভিযোগ জানান হয়। এদিকে নির্যাতিতার দাদা জানান, রাত্রে সিউড়ি হাসপাতাল থেকে ফোন আসে। জানানো হয় তার বোন গুরুতর জখম। তার মাথায় চোট আছে।
সিউড়ি থানায় এসে গৃহবধূর দাদা জানতে পারেন, স্বামীর পরিচয়ে বাড়ির ফোন নম্বর দিয়ে অচৈতন্য ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে কেউ ভরতি করে দিয়েছে। এখানেই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, অভিযুক্ত ওই যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল মহিলার৷ ওই সম্পর্কে থাকাকালীন কোনও বিবাদের জেরেই গৃহবধূর এই পরিণতি বলেই অনুমান পুলিশের৷ নির্যাতিতা পরিবারের দাবি কাঁকরতলা থানায় লিখিতভাবে ধর্ষনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার কুনাল অাগরওয়াল জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে। সবদিক থেকেই প্রকৃত সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ৷
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সুপার উৎপল দাঁ বলেন, ‘‘শারীরিক নির্যাতনের প্রমাণ মিললেও, যৌন নির্যাতনের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি।’’ বাইক থেকে পরে গিয়েই মহিলা মাথায় গভীর আঘাত পেতে পারেন বলেও অনুমান চিকিৎসকের৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.