কল্যাণ চন্দ্র, বহরমপুর: রাজ্যে ফের ‘খুন’ তৃণমূল কর্মী। মারধরের জেরে শুক্রবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল কর্মীর। খুনের অভিযোগ বিজেপির দিকে। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়। তদন্তে পুলিশ।
নিহত তৃণমূল কর্মীর নাম পতিত পাল। বয়স ৪৩ বছর। তিনি রেজিনগর থানার আন্দুলবেড়িয়া কলোনি এলাকার বাসিন্দা। ২১ জুলাই পতিত পাল টোটো চালিয়ে বাড়ি ফেরার সময় কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে মাঠে তুলে নিয়ে ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ। শাবল, লাঠি দিয়ে মেরে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত হন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার রাত্রে মৃত্যু হয় ওই তৃণমূল কর্মীর।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর পতিত পালের উপর চড়াও হয় বিজেপি কয়েকজন কর্মী। সেই ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেন পতিত। সেই মারধরের মামলায় জড়িয়ে পড়েন এক যুবক। সম্প্রতি তিনি চাকরি পেয়েছেন কিন্তু পুলিশ ভেরিকেশন হচ্ছে না। এই জন্য পতিতকে মামলা তুলে নেওয়ার চাপ দিতে থাকে অভিযুক্তরা। অভিযোগ মামলা না তোলায় ২১ জুলাই পতিতকে তুলে নিয়ে ব্যাপক মারধর করে বিজেপির লোকেরা। ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। ঘটনায় রেজিনগর থানায় ছয়জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে রেজিনগর থানার পুলিশ।
নিহতের ভাই পরিতোষ পালের অভিযোগ, “বিজেপির লোকজন আমার দাদাকে মেরেছে। পুরনো একটি মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল বিজেপির লোকজন। একুশে জুলাই দাদা টোটো চালিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। শাবল দিয়ে লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করে হাত-পা, কোমর ভেঙে দেয় বিজেপির কয়েকজন দুষ্কৃতী। এলাকার লোকজন দেখতে পেয়ে আমাদের খবর দেয়। আমরা তড়িঘড়ি দাদাকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করি। শুক্রবার রাতে হাসপাতালে মারা যান। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি চাই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.