সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলা থেকে অনুপ্রবেশকারীদের হঠাতে ফের সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক মন্তব্য করলেন সন্দেশখালির বিজেপি নেতা কাশেম আলি। রোহিঙ্গাদের ধরে ধরে জেসিবি দিয়ে ওপারে পাঠিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি শোনা গেল তাঁর গলায়। সংঘর্ষে উসকানি দিয়ে তাঁর আরও মন্তব্য, ”তৃণমূল কর্মীদের ধরে গাছে বেঁধে ফেলুন, তারপর গায়ে বিছুটি লাগিয়ে দিন।” তাঁকে পালটা দিয়ে তৃণমূল নেতা আবদুল ওয়াহিদ ঢালির বক্তব্য, ”কাশেম আলির কথার জবাব আমি দেব না। আগে আমাদের দলে ছিল। ওকে কেউ নেয় না। এখন বিজেপি করে। ওরা যে সন্দেশখালির ক্ষমতায় আসার জন্য এসব বলছে, তা দিবাস্বপ্ন।”
SIR নিয়ে বসিরহাটের সন্দেশখালি ২নং ব্লকের বেড়মজুর এলাকায় রবিবার বিজেপি এক সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য বিজেপির অন্যতম মুখপাত্র কাশেম আলি বলেন, ”তৃণমূলের অবস্থা এখন বাজারের ছোট এক টাকা কয়েনের মতো। বাজারে যেমন ছোট এক টাকার কয়েন নেয় না, এখন তৃণমূলের কর্মীদেরও সাধারণ মানুষ নেয় না। ওদের দেখলে ছাড়বেন না। যারা আপনাদের উপর অত্যাচার, অবিচার করেছে, তাদের ধরে গাছে বেঁধে রাখুন। গায়ে বিছুটি পাতা লাগিয়ে দিন।” এখানেই শেষ নয়। কাশেম আলির আরও হুঁশিয়ারি, ”যারা রোহিঙ্গাদের সমর্থন করবে, এসআইআর হয়ে গেলে আমাকে জানান। তাদের ধরে বুলডোজারে করে ওপারে ছুড়ে ফেলে দেব।”
সভা শেষের পরও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কাশেম আলি নিজের বক্তব্যে অনড় থেকে বলেন, ”আমাদের দেশ ধর্মশালা বা আশ্রয়শালা নয় যে সবাইকে এখানে আশ্রয় দেবে। রোহিঙ্গারা এখানে ঢুকে পড়বে, থাকবে, নানা অসামাজিক কার্যকলাপ ঘটাবে আর তাদের জন্য ভারতবর্ষের মুসলিমদের বদনাম হবে, তা তো চলতে পারে না। এসআইআর হওয়ার পর যদি রোহিঙ্গারা থাকে, ওদের জেসিবি দিয়ে ওপারে ইউনুসের কাছে পাঠিয়ে দেব। ইউনুস ওদের রাখুক।”

কাশেম আলির এহেন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা আবদুল ওয়াহিদ ঢালি বলেন, “সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। সেখানেই বিজেপি এক টাকার ছোট কয়েনের মতো অচল হয়ে যাবে। বিজেপি কাশেম আলিকে ব্যবহার করছে। আদতে দলে তার কোনও জায়গায় নেই। যদি কাশেম আলি ভেবে থাকে, এসব বলে তারা সন্দেশখালির ক্ষমতায় আসবে, সেটা দিবাস্বপ্ন। গোটা বাংলায় তো নয়ই, সন্দেশখালিতে তাদের কোনও অস্তিত্ব নেই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.