Advertisement
Advertisement
BJP

বিজেপির গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তেজনা গ্রেপ্তার ৫ কর্মী, মুক্তির দাবিতে রাতভর থানায় ধরনা খগেন মুর্মুর

থানার আইসির সঙ্গে দেখা করতে চান বিজেপি সাংসদ।

BJP MP Khagen Murmu staged a sit-in at Chanchal Police Station overnight
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:September 6, 2025 10:59 am
  • Updated:September 6, 2025 10:59 am  

বাবুল হক, মালদহ: বিজেপির গোষ্ঠী সংঘর্ষ! মারধর ও পরিবেশ উত্তপ্ত করার অভিযোগে অভিযোগে গ্রেপ্তার গেরুয়া শিবিরের পাঁচজন কর্মী। তাঁদের মুক্তির দাবি ও থানার আইসির সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে রাতভর চাঁচোল থানার সামনে ধরনায় বসেছেন উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মু। পুলিশ মিথ্যা কেস সাজিয়েছে বলে অভিযোগ সাংসদের। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত করেছে পুলিশ।

Advertisement

২৯ আগস্ট মাঝরাতে চাঁচোলের আশ্রমপাড়ায়  বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে বলে অভিযোগ। বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য প্রসেনজিৎ শর্মা ও বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী সুমিত সরকারের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে বলে দাবি স্থানীয়দের। ধারালো অস্ত্র, লাঠি নিয়ে দুই গোষ্ঠী পরস্পরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। আহত হন মোট সাতজন। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চাঁচোল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চাঁচোল থানার বিশাল পুলিশ। নামে কমব্যাট ফোর্স। দলের এই কোন্দল নিয়ে মুখে কুলুপ আটে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। সাংসদ খগেন মূর্ম গোষ্ঠী কোন্দলের ঘটনা অস্বীকার করেছেন।

ঘটনায় কোনও পক্ষই থানায় অভিযোগ জানায়নি। তবে সুয়োমোটে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনায় পাঁচজন বিজেপিকর্মীকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ মিথ্যা মামলা সাজিয়েছে এই অভিযোগ তুলে বিজেপি কর্মীদের মুক্তির দাবি তোলেন সাংসদ খগেন মুর্মু। আইসির সঙ্গে দেখা করতে চান তিনি। তবে থানার আধিকারিককে না পেয়ে ধরনায় বসেন তিনি। বিজেপি সাংসদের দাবি, সংঘর্ষের দিনে সাদা পোশাকের পুলিশকর্মীকে বেল্ট দিয়ে পেটায় এক তৃণমূল নেতা। কিন্তু পুলিশ ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তার না করে বিজেপি কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ এনিয়ে কিছু বলেনি।

প্রসেনজিৎ শর্মা চাঁচোল গ্রাম পঞ্চায়েতের আশ্রমপাড়া বুথের বিজেপি সদস্য। এলাকায় তিনি দলের যুব নেতা হিসাবে পরিচিত। অন্যদিকে, সুমিত সরকার আগে তৃণমূল করতেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মালদহের অনুগামী অম্লান ভাদুড়ির হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের দাবি চাঁচলে শুভেন্দু অনুগামীদের সঙ্গে আদি বিজেপিদের একটা চাপা বিরোধ রয়েছে। ওইদিন তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটে বলে মনে করছে চাঁচলের রাজনৈতিক মহল। তবে বিজেপির কোনও গোষ্ঠী সংঘর্ষ নেই বলে দাবি করে বিজেপি কর্মীদের মুক্তির দাবি তুলে থানার সামনে ধরনায় বসেছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement