Advertisement
Advertisement
Bardhaman

অনুমতি না নিয়েই ছয় নেতাকে সাসপেন্ড! ব্লক সভাপতিকে শোকজ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের

বর্ধমানের বৈকুন্ঠপুর-১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান-সহ ছয় জনকে সাসপেন্ড করেছিলেন ব্লক সভাপতি।

block president gives show cause notice to TMC leaders after 6 leaders suspended
Published by: Kousik Sinha
  • Posted:October 5, 2025 4:52 pm
  • Updated:October 5, 2025 4:52 pm   

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমতি না নিয়েই বর্ধমানের বৈকুন্ঠপুর-১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান-সহ ছ’জনকে সাসপেন্ড করেছিলেন ব্লক সভাপতি। এবার তাঁকেই শোকজ করলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার তৃণমূল সভাপতি। শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমতি না নিয়ে কীভাবে সাসপেন্ড? এই প্রশ্ন তুলেই ব্লক সভাপতি পরমেশ্বর কোঙারকে শোকজ করা হয়। আজ রবিবার বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। সেখানেই জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। ছয় নেতাকে সাসপেন্ড করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দলের কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে সেটা ব্লক থেকে জেলা নেতৃত্বকে জানাতে হয়। জেলা থেকে রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়। রাজ্য যে সিদ্ধান্ত জানায়, সেটা করা হয়।” কিন্তু এক্ষেত্রে সেই সব কিছু করা হয়নি বলে দাবি রবীন্দ্রনাথবাবুর।

Advertisement

তাঁর কথায়, ”নিয়ম না মেনে ওই ছয়জনকে সাসপেন্ড করেছেন ব্লক সভাপতি। তাই ওই সাসপেন্ডকে মান্যতা দিচ্ছে না দল। আর দলের নিয়ম না মেনে সাসপেন্ড করায় বর্ধমান-২ ব্লক সভাপতিকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাব পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।” অন্যদিকে ব্লক সভাপতি পরমেশ্বর কোঙার বলেছেন, “শোকজের চিঠি পেয়েছি। যথা সময়ে শোকজের উত্তর দেওয়া হবে।” বলে রাখা প্রয়োজন, দল বিরোধী কাজের অভিযোগে শনিবারই সাসপেন্ড করা হয় পূর্ব বর্ধমানের বৈকুন্ঠপুর-১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান-সহ ছয় জনকে। তিন বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয় উপপ্রধান জয়দেব বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর সঙ্গী লবকুমার দাস, সব্যসাচী চৌধুরী, তুষার সামন্ত, অম্বিকা দাস ও জরু আলমকে। এহেন সিদ্ধান্ত ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

শনিবার বর্ধমান-২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি পরমেশ্বর কোঙার জানান, জয়দেব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বাকিরা তৃণমূল থেকে শৃঙ্খলা ভেঙেছেন। সমাজমাধ্যমে দল এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার মিথ্যাচার করেছেন বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতার। শুধু তাই নয়, ব্লক সভাপতি জয়দেব ও বাকি ৫ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন। যদিও শোকজের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন জয়দেব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “দলবিরোধী কাজ করে থাকলে দল তো প্রথমে শোকজ করে। এটাই নিয়ম।” এমনকী ব্লক সভাপতি জেলা কমিটির সদস্যকে কীভাবে সাসপেন্ড করতে পারেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন জয়দেব বন্দ্যোপাধ্যায়।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ