Advertisement
Advertisement
Jalpaiguri

জলপাইগুড়িতে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যেই উদ্ধার যুবকের ঝুলন্ত দেহ! খুন নাকি আত্মহত্যা?

ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক এবং স্ত্রীয়ের সঙ্গে গড়ে উঠেছিল পারিবারিক সম্পর্ক।

Body found inside diagnostic centre at Jalpaiguri start question

ফাইল ছবি।

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:August 17, 2025 12:59 pm
  • Updated:August 17, 2025 1:16 pm   

শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যেই উদ্ধার যুবকের ঝুলন্ত দেহ! মৃত যুবকের নাম রাহুল ঝা। শনিবার রাতে জলপাইগুড়ি শহরের হাকিমপাড়ায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভেতরেই মেলে তাঁর দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় লোকজন চড়াও হয় ওই সেন্টারে। চলে ব্যাপক ভাঙচুর। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্থানীয় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। কী কারণে এই ঘটনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যে দেহটি উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। পরিবারের অভিযোগ, মানসিক চাপ থেকেই এই ঘটনা। কাঠগড়ায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক, যিনি একজন পেশায় চিকিৎসক। এমনকী তাঁর স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধেও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ পরিবারের।

Advertisement

জলপাইগুড়ি শহরের হাকিমপাড়ায় দীর্ঘদিনের পুরনো ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সেখানেই দীর্ঘদিন ধরে রাহুল ঝা নামে স্থানীয় ওই যুবক কাজ করতেন। শনিবার রাতে সেন্টার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও সে বাড়ি না ফিরলে পরিবারের তরফে খোঁজখবর শুরু হয়। জানা যায়, এর মধ্যেই সেন্টারের একটি ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় রাহুলের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান সেন্টারের নিরাপত্তায় থাকা কর্মীরা, যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই মৃত ওই কর্মীর পরিবার এবং স্থানীয় লোকজন বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। ভাঙচুর চালানো হয় ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও।

ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। কোনও রকমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পরিবারের অভিযোগ, ওই সেন্টারের মালিক, ওই চিকিৎসক এবং তাঁর স্ত্রী, পরিবারের সঙ্গে পারিবারিক একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল রাহুলের। সম্প্রতি কোনও কারণে সেই সম্পর্কের অবনতি ঘটে। আর এরপরেই মৃত ওই যুবকের উপর নানাভাবে মানসিক চাপ দেওয়া হতো বলে অভিযোগ পরিবারের। আর সেই কারণেই এই মর্মান্তিক ঘটনা। পুরো ঘটনার সঙ্গে ওই সেন্টারের মালিক এবং স্ত্রী জড়িত বলেও অভিযোগ পরিবারের। রাহুলের বাবা জানিয়েছেন, ”খুন না আত্মহত্যা তা স্পষ্ট নয়। আমরা চাই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক।”

ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সেন্টারের মালিকের ভূমিকাও। অন্যদিকে সেন্টারটিকে সিল করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ