প্রতীকী ছবি।
নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বীরভূমের মহম্মদবাজার এলাকায় যুবকের রহস্যমৃত্যু! পাঁচদিন নিখোঁজ থাকার পর বুধবার সকালে যুবকের দেহ পায় পুলিশ। এলাকার চরিচার জঙ্গলের একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়। স্বাধীনতা দিবসের রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন যুবক। দেহের পাশ থেকে একটি বাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ সিউড়িতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান অশান্তির জেরে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক। মৃতের বাবা বলেন, “আমার যা হারাবার তা হারালাম। পুলিশ তদন্ত করে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খুঁজে বার করুক।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম অশোক ঘোষ। বয়স আনুমানিক ২০। তিনি মহম্মদবাজার থানা এলাকার বাসিন্দা। গাড়ির খালাসির কাজ করতেন। ১৫ আগস্ট বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। তার পরই থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন মৃতের বাবা পূর্ণচন্দ্র ঘোষ। পুলিশ জানতে পেরেছে, ১৫ তারিখ অশোক শেওড়াকুড়ি এলাকায় একটি পেট্রল পাম্পে তেল ভরে। পরে ওই এলাকা থেকে নাইলনের দড়িও কেনেন। আত্মহত্যা নাকি খুন সেই নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে।
এদিকে মৃত্যুর ঘটনার রাজনৈতিক রং লেগেছে। মৃতের কাকা বলরাম ঘোষ খয়রাকুড়ি এলাকার বিজেপির অঞ্চল সভাপতি। তিনি দাবি করেছেন, ভাইপো বিজেপি করতেন। অন্যদিকে নিখোঁজের পরে এলাকার তৃণমূল বুথ সভাপতি রবীন ঘোষ অশোকের বাবাকে নিয়ে মহম্মদবাজার থানায় নিখোঁজের ডাইরি করেন। উপস্থিত ছিলেন মহম্মদবাজার বি ব্লকের সভাপতি কালীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের দাবি অশোক তৃণমূল কর্মী।
তৃণমূলের বুথ সভাপতি রবীন ঘোষ জানান, ‘অশোক তাঁদের মিছিলে যেতেন না ঠিকই। তবে সমর্থক ছিলেন। অশোকের কোনও শত্রু ছিল বলেই তাঁরা জানেন। কোনও মহিলা ঘটিত সম্পর্কের কথা তাঁরা জানেন না। এই মৃত্যু তাঁদের অস্বাভাবিক লাগছে। পুলিশ তদন্ত করে প্রকৃত সত্য সামনে নিয়ে আসুক।’ এদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার অভিযোগ, ‘অশোক নিখোঁজের পর তারা মহম্মদবাজার থানায় গেলে পুলিশ তাঁদের বিভ্রান্ত করে। পুলিশ তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা জানাক। না হলে তাঁরা আন্দোলনে নামবেন।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.