প্রতীকী ছবি।
সৌরভ মাজি, বর্ধমান: বর্ধমানের বুকে হাড়হিম কাণ্ড। ঘর থেকে উদ্ধার মা ও মেয়ের পচাগলা দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল লক্ষ্মীপুরে। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, মানসিক অবসাদের জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁরা। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃতদের শিখা ভট্টাচার্য ও তৃষা ভট্টাচার্য। গৃহকর্তা স্বপন ভট্টাচার্যের মৃত্যু হয় বছর খানেক আগে। তিনি আরামবাগ কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক ছিলেন। বিয়ে হয়েছিল তৃষারও। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে যেতেন না তিনি। মায়ের কাছেই থাকতেন। প্রতিবেশীদের দাবি, এলাকার কারও সঙ্গে মিশতেন না ওঁরা। অধিকাংশ কেনাকাটা সারতেন অনলাইনেই। কখনও বেরলেও কথা বলতেন না কারও সঙ্গে। গত পাঁচ-ছ’দিন প্রতিবেশীরা দেখতে পাননি ওদের কাউকেই।
সূত্রের খবর, বুধবার গভীর রাতে ওই ভট্টাচার্য বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পান এলাকার বাসিন্দারা। সন্দেহ হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ গিয়ে তালা ভাঙতেই ভয়ংকর দৃশ্য! বিছানায় মেলে মা ও মেয়ের পচাগলা দেহ। মিলেছে সুইসাইড নোটও। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, অবসাদেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত। তবে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। মৃতদের আত্মীয় চঞ্চল গঙ্গোপাধ্যায়েরও অনুমান যে, অবসাদেই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই মা ও মেয়ে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.