হাসপাতালে তদন্তে পুলিশ আধিকারিকরা। নিজস্ব চিত্র
গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: ঘরের ভিতর থেকে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ায়। ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ওই ব্যক্তির স্ত্রী। পরে স্ত্রী পুষ্প মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বামীকে ‘খুন’ করে পালিয়েছিলেন পুষ্প? সেই প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃত ব্যক্তির নাম লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল।
বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া থানার খাশবালান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়খাঁ গ্রামে বাড়ি লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডলের। স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে সংসার। সোমবার রাতে নিজের ঘর থেকে উদ্ধার হয় ওই ব্যক্তির দেহ। গলায় শাড়ির ফাঁস লাগানো ছিল। স্থানীয়রা সেই ঘটনা দেখে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর দেওয়া হয় হাড়োয়া থানায়। পুলিশ হাসপাতাল ও ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির মাথায় ও শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। একাধিক জায়গায় রক্তের দাগও রয়েছে। লক্ষ্মীকান্তের বাম হাতের একটি আঙুলও ভাঙা। ঘটনাস্থল থেকে একটি কোদাল উদ্ধার হয়েছে। ওই ব্যক্তিকে মারধর কি খুন করা হয়েছে? তারপর গলায় ফাঁস লাগিয়ে মৃতদেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে? সেই প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনার পর থেকে স্ত্রী ও ছেলের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। স্বামীকে খুন করে ছেলেকে নিয়ে কি পলাতক স্ত্রী? সেই প্রশ্নও ওঠে। মৃতের জ্যাঠার পরিবারের দাবি তাঁকে ‘খুন’ করা হয়েছে। দোষীর উপযুক্ত শাস্তির দাবি তোলা হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বোঝা যাবে। এমনই জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। মৃত ব্যক্তির স্ত্রী ও সন্তানের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু হয়।
আজ, মঙ্গলবার স্ত্রী পুষ্প মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার চণ্ডীতলা থানা এলাকায় ওই মহিলার বাপেরবাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে হাড়োয়া থানার পুলিশ। ধৃতকে এদিনই বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে বলে খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.