Advertisement
Advertisement

আবুধাবিতে রহস্যমৃত্যু যুবকের, ১৪ দিন পর দেহ পৌঁছল তেহট্টের বাড়িতে

খুনের অভিযোগ পরিবারের।

Body of Nadia labourer who died in Abu Dhabi reaches home
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:August 21, 2018 6:12 pm
  • Updated:August 21, 2018 6:12 pm   

পলাশ পাত্র, তেহট্ট: আবুধাবিতে কাজ করতে গিয়ে রহস্যমৃত্যু। ১৪ দিন পর নদিয়ার তেহট্টের বাড়িতে পৌঁছল মহিবুল খানের নিথর দেহ। মঙ্গলবার সকালে মৃতদেহের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকেরা। তাঁদের অভিযোগ, মহিবুলকে খুন করেছে তাঁর সহকর্মীরাই। দোষীদের শাস্তির দেওয়ার দাবি তুলেছেন মৃতের পরিবারের লোকেরা।

Advertisement

[ভুয়ো চাকরির লোভ দেখিয়ে প্রতারণা, গ্রেপ্তার সিভিক ভলান্টিয়ার]

নদিয়ার তেহট্ট মহকুমার হোগলবেড়িয়ার থানার প্রত্যন্ত গ্রাম কুচাইডাঙা। এই গ্রামেই স্ত্রী, দুই পুত্র ও বিধবা মাকে নিয়ে থাকতেন মহিবুল খান। বছর দেড়েক আগে এক দালাল মারফত আবুধাবিতে কাজ করতে গিয়েছিলেন তিনি। আবুবাধিতে মহিবুলের সঙ্গে থাকতেন কাবাতুল্লা শেখ। তিনি মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। দু’জনে একসঙ্গেই কাজ করতেন। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, গত ৮ অাগস্ট ফোন করে বাড়িতে মহিবুলের মৃত্যুসংবাদ জানিয়েছিলেন কাবাতুল্লা। শুধু তাই নয়, তাঁর মৃত্যু যে স্বাভাবিক নয়, সেকথাও বলেছিলেন মহিবুলের খানের সহকর্মী। মৃতের পরিবারের লোকেদের দাবি, ফোনে কাবাতুল্লা বলেন, মহিবুল খানের পেটে ভোজালি ঢুকিয়ে দিয়েছিল বেশ কয়েকজন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। যদিও ঠিক কারণে মারা গেলেন নদিয়ার ওই যুবক? তা এখনও স্পষ্ট নয়। স্থানীয় এক দালালকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

এদিকে মহিবুল খানের দেহ ফিরিয়ে আনতে করিমপুরের বিধায়ক মহুয়া মৈত্র ও জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হন পরিবারের লোকেরা। মৃত্যুর ১৪ দিন পর মঙ্গলবার সকালে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ পৌঁছল তেহট্টের কুচাইডাঙা গ্রামের বাড়িতে। এদিন মহিবুল খানের গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন তাঁর সহকর্মী কাবাতুল্লা শেখও। স্থানীয় পশ্চিমপাড়া এলাকায় মৃতদেহটি সমাধিস্থ করা হয়। এদিকে, এই ঘটনার পর মৃতের সহকর্মী পরিচয় দিয়ে অনেকেই ফোন করছেন বলে দাবি করেছেন পরিবারের লোকেরা। তাঁরা চান, ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিক প্রশাসন।

[ রাতবিরেতে যত্রতত্র পড়ছে ঢিল, ভূতুড়ে কাণ্ডে আতঙ্কে ওদলাবাড়ির বাসিন্দারা]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ