শেখর চন্দ্র, আসানসোল: খাদান এলাকায় ঘন জঙ্গলের মাঝে অজ্ঞাতপরিচয় যুবতীর দেহ উদ্ধার। স্থানীয়দের দাবি, যুবতীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল দক্ষিণ থানার ডামরা তিন নম্বর এলাকার ঘটনা। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। আতঙ্কিত এলাকাবাসী। তদন্তে পুলিশ।
এদিন সকালে আসানসোল পুরনিগমের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাত নম্বর খোলামুখ খনির সামনের পলাশবনে যুবতীর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভিড় জমে যায় এলাকায়। খবর যায় পুলিশে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। কী করে যুবতীর দেহ ওই জঙ্গলে ঘেরা নির্জন জায়গায় এল? কী করে মৃত্যু? তাঁর উপর কোনও নির্যাতন চালানো হয়েছে কি না। মৃতার বাড়ি বা কোথায়? সব বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, যুবতীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এক বাসিন্দা জানান, “আশেপাশে বেআইনি কয়লা খাদান বা পাথর খাদান রয়েছে। সেখানে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা। আমরা স্থানীয়রা রাতে এইদিকে আসতে ভয় পাই। আমি দেহ পুরোপুরি দেখতে পাইনি। কিন্তু যুবতীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে আমার অনুমান। দেহ দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে তাঁকে।” তিনি আরও যোগ করেন, “এখানে আদিবাসীদের বসবাস। মহিলারা সকালে কাঠ সংগ্রহ করেত আসেন। এই ঘটনার পর আতঙ্কিত আমরা। মা-বোনেদের নিরাপত্তা কোথায়?”
তবে পুলিশ এবিষয়ে কিছু জানায়নি। ধর্ষণ করে খুন, নাকি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু হয়েছে তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। দেহ উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই ময়নাতদন্ত হবে। খবর পেয়ে জেলা হাসপাতালে পৌঁছন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি সেন্টাল ধ্রুব দাস। তিনি বলেন, “তদন্ত একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে। ওই মহিলার নাম পরিচয় জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.