প্রতীকী ছবি
শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: বাড়ির অমতে মনের মানুষকে বিয়ে করেছিলেন তরুণী। এক বছরও কাটল না। সেই তরুণীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার শ্বশুরবাড়িতে। মৃতার বাপেরবাড়ির অভিযোগ, মেয়েকে খুন করা হয়েছে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানা এলাকায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই তরুণীর নাম মিনা বর্মন। চোপড়ার দলুয়া এলাকায় তাঁর বাড়ি। এলাকারই বাসিন্দা ধীরেশ সিংহের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এই সম্পর্ক মানতে পারেননি তাঁর পরিবারের সদস্যরা। বাড়ির অমতেই ধীরেশকে বিয়ে করেছিলেন মিনা। সেই বিয়ের পর থেকে বাপেরবাড়ির লোকদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল না বলে খবর। বিয়ের এক বছরের মধ্যে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হল মিনার।
সোমবার সকালে শ্বশুরবাড়িতে তাঁদের ঘর থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহ পাওয়ার পরই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। মৃতার বাপেরবাড়ির অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও শ্বশুরবাড়ির দাবি, পুত্রবধূ আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু কী কারণে এই ঘটনা? তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কি সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল? নাকি পরকীয়ার কোনও বিষয় ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে? সেই প্রশ্ন উঠছে। শ্বশুরবাড়ির থেকেই মৃতার বাপেরবাড়ির লোকজনকে মৃত্যুর কথা এদিন সকালে জানানো হয়। ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায়।
মৃতার মায়ের অভিযোগ, মেয়েকে খুন করা হয়েছে। মারার পর তাঁকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। বাপের বাড়ির লোকজন ঘটনার তদন্তের দাবি জানান। চোপড়া থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মৃতার শ্বশুরবাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মৃতার স্বামী ধীরেশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.