টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: একটি অটোগ্রাফ। ছোট্ট কাগজে লেখা কয়েকটি শব্দ। ‘রীতা মুদি তুমি সুখে থাকো’। এই ক’টা শব্দই যেন জাদুকাঠির ছোঁয়ার মতো। এক লহমায় বদলে গেল বাঁকুড়ার তরুণীর জীবন। কারণ কথাটি যিনি তাঁকে লিখে দিয়েছিলেন, তিনি আর কেউ নন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদির হস্তাক্ষরেই পালটে গিয়েছে ১৯ বছরের রীতা মুদির জীবন। রাতারাতি পৌঁছে দিয়েছে খ্যাতির শিখরে। তবে এই খ্যাতি সঙ্গে করে সামান্য বিড়ম্বনাও নিয়ে এসেছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, একের পর এক বিয়ের প্রস্তাব আসছে রানিবাঁধের শালগেড়ার বাসিন্দার কাছে।
বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজের পড়ুয়া রীতা বরাবরই মোদিভক্ত। ১৬ জুলাই মা সন্ধ্যা মুদি ও বোন অনিতা মুদিকে নিয়ে মোদির সভায় গিয়েছিলেন তিনি। শামিয়ানা ভেঙে পড়ায় আহত হন তিনিও। নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রীও। যাঁকে এতদিন টেলিভিশন, সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছেন, তাঁকে চোখের সামনে দেখে অটোগ্রাফের আবদার জুড়ে দেন রীতা। প্রথমে দ্বিধাবোধ থাকলেও তরুণীর আবদার মেটান মোদি।
[মেদিনীপুরে তৃণমূলের পালটা সভা, থাকছেন মোদির ব়্যালিতে আহতদের পরিবার]
কাগজের এই একটি টুকরোতেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যায় রীতার জীবন। তার পুরো পরিবারের জীবন। রীতার মা সন্ধ্যাদেবী জানান, গত কয়েকদিনে বাড়িতে ক্রমাগত মানুষ এসে যাচ্ছেন। যাঁরা এতদিন কথা পর্যন্ত বলতেন না, তাঁরাও এসে খোশগল্প করে যাচ্ছেন। প্রত্যেকেই এসে কাগজটি দেখে যাচ্ছেন। রীতাকে বারবার বলতে হচ্ছে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে একের পর এক বিয়ের প্রস্তাবে। ফোন করে ১৯ বছরের তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছেন ‘যোগ্য’ পাত্ররা। কেউ সরকারি চাকুরে তো কেউ প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, প্রত্যেকে রীতার ‘হ্যাঁ’ শুনতে চাইছেন। অনেকে তো আবার সোজা মা-বাবার কাছেই বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসছেন। এত বিয়ের প্রস্তাব। কোনও পাত্র পছন্দ হল? প্রশ্নের উত্তরে রীতা জানান, উপযুক্ত পাত্র নয় আপাতত পড়াশোনাতেই মনোনিবেশ করতে চান তিনি। স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে চান। তারপরে বাবা-মা যাঁকে পছন্দ করবে, তাঁর গলাতেই বরমাল্য দেবেন মোদিভক্ত।
[অভুক্তদের অন্ন জুগিয়ে নজির, এবার নাবালিকার দৃষ্টি ফেরাতে উদ্যোগী রুটি ব্যাংক]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.