শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের অশান্তির ঘটনায় তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত রিপোর্ট হাই কোর্টে জমা দেয় রাজ্য। এদিন বেঞ্চ জানায়, চার মাস পেরিয়ে গিয়েছে। এবার তদন্ত শেষ করুক সিট। মূল অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ। গোটা ঘটনায় রাজ্যের ডিজিকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পরবর্তী শুনানির আগে তদন্ত শেষ করতে হবে বলে পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেছে বেঞ্চ। এছাড়াও, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সামশেরগঞ্জে বিএসএফের ১০ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছে আদালত। ৭ সপ্তাহ পর মামলার পরবর্তী শুনানি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সামশেরগঞ্জে অশান্তিতে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসের মৃত্যু হয়। পরে মামলা গড়ায় হাই কোর্টে। অভিযোগ, এপর্যন্ত মূল অভিযুক্তরা এখনও পলাতক। যার জেরে সিটকে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য হাই কোর্টে জানিয়েছে, ওই ঘটনায় বেশ কয়েকটি চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। মোট ৫৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেক অভিযুক্ত পলাতক। আরও তদন্ত চলছে। সিট দ্রুত তদন্ত শেষ করবে বলে আদালতে জানিয়েছে রাজ্য। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, যেহেতু তদন্ত চলছে, এলাকায় আপাতত কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে রাজ্যকে।
উল্লেখ্য, ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের ধুলিয়ান ও সংলগ্ন এলাকা। ঘটনায় বিএসএফ নামাতে হয়। পরে এই সংক্রান্ত মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। উচ্চ আদালত সামগ্রিক নিরাপত্তার কথা ভেবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয়। সেই থেকে এলাকায় রয়েছে কড়া নিরাপত্তা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করেছেন। ক্ষতিপূরণও ঘোষণা করেন। এবার সেই মামলার রিপোর্ট তলব ও পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.