Advertisement
Advertisement
CBI

কয়লা পাচার কাণ্ডে লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু সিবিআইয়ের

আগেই লালার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করে সিবিআই।

CBI to seize Anup Maji''s property in four districts | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:March 10, 2021 9:58 am
  • Updated:March 10, 2021 9:58 am   

শেখর চন্দ্র: কয়লা পাচার কাণ্ডে অনুপ মাজি ওরফে লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করল সিবিআই। এই মর্মে সহযোগিতা চেয়ে রাজ্যের চার জেলার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপারদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিয়ের দিন কনেকে ফেলে প্রেমিকার সঙ্গে চম্পট যুবকের, নাটকীয় পরিণতি পাত্রীর]

সিবিআই সূত্রে খবর, বর্ধমান, পুরুলিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও বাঁকুড়ার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। ওই চার জেলায় অন্তত ৭০টি জায়গায় লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। এই মর্মে জেলাশাসকদের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারির ১৮ তারিখ লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। শুনানি শেষে সেই আবেদনে সিলমোহর দেয় আদালত। তারপরই কোর্টের নির্দেশ মতো এবার লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সিবিআই। উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর মাসেই কয়লা পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করে সিবিআই। সে যাতে বিদেশে পালাতে না পারে তাই এই পদক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। তাছাড়া, লালার এক সহযোগী ব্যবসায়ী নীরজ সিংকেও তলব করা করে সিবিআই। বেশ কয়েকবার কলকাতা ও পুরুলিয়ায় হানা দিয়ে লালাকে নাগালে পায়নি সিবিআই। ইতিমধ্যে লালা মুম্বই পালিয়েছে বলে অনুমান। মুম্বইয়ে সিবিআই আধিকারিকদের সতর্ক করেছে কলকাতার দপ্তর।

সম্প্রতি, বামাপদ দে নামে লালা ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তিকে শিলিগুড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে নিয়ে আসা হয় নিজাম প্যালেসে। সূত্রের খবর, কয়লা কাণ্ডের তদন্তে প্রয়োজনীয় বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে তার কাছে। কাদের মারফত অনুপ মাজি ওরফে লালা ও বিনয় মিশ্রের কাছে টাকা পৌঁছত, দীর্ঘদিন ধরে এবিষয়ে খোঁজখবর চালাচ্ছিল ইডি, সিবিআই। তালিকায় উঠে এসেছিল কলকাতার ২৬ জন ব্যবসায়ীর নাম। ইতিমধ্যেই তাঁদের মধ্যে ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। তল্লাশি চালানো হয় তাঁদের বাড়িতে। সেখানেই মিলেছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি। এই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অ্যাকাউন্টে লালা ও বিনয় মিশ্রর টাকা লেনদেনের প্রমাণও মিলেছে। জানা গিয়েছে, এই ব্যবসায়ীদের মারফত টাকা পৌঁছত বিনয় মিশ্র ও অনুপ মাঝির কাছে। তারপর তাঁরা সেই টাকা পাঠাতেন প্রভাবশালীদের।

[আরও পড়ুন: করোনার নয়া স্ট্রেনে আক্রান্ত দুবাই ফেরত করিমপুরের যুবক হাজির বিয়েবাড়িতে, আতঙ্কে পড়শিরা]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ