Advertisement
Advertisement
খুন

৬ দিন পর প্রকাশ্যে মালদহ কাণ্ডে মৃতার পরিচয়, আটক তরুণীর বন্ধু

ধৃত যুবকের সঙ্গে দেখা করতেই মালদহে গিয়েছিলেন ওই তরুণী।

Charred body of woman found in Malda identified, says police

ছবি: প্রতীকী

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:December 11, 2019 12:51 pm
  • Updated:December 11, 2019 1:32 pm   

বাবুল হক, মালদহ: ঘটনার ৬ দিনের মাথায় মালদহ থেকে উদ্ধার হওয়া অগ্নিদগ্ধ মৃত তরুণীর পরিচয় পেল পুলিশ। বুধবারই শিলিগুড়ি থেকে মালদহ এসে তরুণীর দেহ শনাক্ত করেন তাঁর মা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মূল অভিযুক্ত-সহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

Advertisement

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মালদহের কোতোয়ালি থানা এলাকার ধানতলা আমবাগান থেকে উদ্ধার হয়েছিল তরুণীর নগ্ন দগ্ধ দেহ। ঘটনার পরই তরুণীর খোঁজে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরিবারের সন্ধান পেতে তরুণীর দেহে থাকা গয়নার ছবি বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ করেছিল পুলিশ। সেই ছবি দেখেই মালদহ থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা এক মহিলা। জানা গিয়েছে, শিলিগুলির অম্বিকানগরের বাসিন্দা মৃতা তরুণী। পাশের গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। দুই সন্তানও রয়েছে। তবে কিছুদিন আগেই বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল তরুণীর। মৃতার মা জানান, চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিলেন মৃতা তরুণী। তাঁর এক বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলে ওই মহিলা জানতে পেরেছিলেন যে, মেয়ে ছোটোন ঘোষ নামে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে মালদহে গিয়েছেন। এরপর ৫ তারিখ উদ্ধার হয় তরুণীর দেহ।

[আরও পড়ুন: বেনজির! ‘নিষিদ্ধ’ ভারতীয় গাড়ি নিয়ে কৈলাসে পাড়ি বঙ্গসন্তানের]

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, যে জায়গা থেকে তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল তাঁর পাশেই ছোটোন নামে ওই যুবকের বাড়ি। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তের স্বার্থে ছোটোন-সহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে মালদহের কোতোয়ালি থানা এলাকার বাসিন্দারা ধানতলার এক ফাঁকা মাঠে তরুণীর পোড়া দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। প্রথমে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। এরপর পৌঁছয় মহিলা থানার পুলিশ ও ডিএসপি প্রশান্ত দেবনাথ। ঘটনাস্থলে যান পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। তাঁর উপস্থিতিতেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। ডিএসপি জানিয়েছিলেন, “বৃহস্পতিবার সকালেই নারকীয় এই ঘটনা ঘটেছে। তরুণীর ঊর্ধ্বাঙ্গ পুড়ে গিয়েছে। যৌনাঙ্গে গভীর ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে গণধর্ষণের শিকার ওই তরুণী। যদিও ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে আসার পর পুলিশ সুপার জানিয়েছিলেন যে, ধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি। তবে ঠিক হয়েছিল ওই রাতে ? ময়নাতদন্তের পূর্নাঙ্গ রিপোর্ট ও ধৃতদের জেরা করেই তা স্পষ্ট হবে বলে জানান তদন্তকারীরা।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ