শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: নাবালককে খুন করে পুঁতে দেওয়া হয়নি তো? রবিবার নির্যাতিতর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে মহেশতলা কাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন চোপড়ার বিধায়ক হামিদুর রহমান। বললেন, “বেঁচে থাকলে হয়তো এতদিনে ফিরে আসত।”
গত কয়েকদিন ধরে মহেশতলা কাণ্ডে উত্তাল বাংলা। মূল অভিযুক্ত শাহেনশাহ-সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর বেশ কিছুদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও হদিশ মেলেনি নির্যাতিত কিশোরের। রবিবার বিকেলে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের পাঁটাগোড়া ফাঁড়ির ছোঘরিয়ায় নির্যাতিতের বাড়িতে যান স্থানীয় বিধায়ক। কিশোরের বাবা মায়ের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তারপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় আক্রান্ত কিশোর বেঁচে নেই। খুন করে পুঁতে দেওয়া হয়নি তো? কারণ, যদি বেঁচে থাকত, তাহলে এতদিন লাগতো না ফিরতে।” যদি বেঁচে থাকলে পুলিশ কিশোরকে বাড়ি ফেরাবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক।
উল্লেখ্য, মোবাইল চুরির অভিযোগে ইসলামপুরের এক কিশোরকে মহেশতলার কারখানায় উলটো করে ঝুলিয়ে ইলেকট্রিক শক দেওয়ার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল)। সেই অভিযোগে কারখানার মালিক শাহেনশাহ, তার ভাই ফিরোজ আলম এবং আমিরুল মহম্মদ ওরফে আশিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নির্যাতিত নাবালকের খোঁজে তদন্তকারীরা। পুলিশের তরফে ওই কিশোরের ছবি ও তার যাবতীয় তথ্য সমাজমাধ্যম-সহ পুলিশের বেশ কয়েকটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করা হয়েছে। তদন্তকারীরা আশাবাদী যে, জীবিত অবস্থায়ই উদ্ধার হবে সে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.