Advertisement
Advertisement
Chunchura

প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুন, নাবালক ছেলের বয়ানে দোষী সাব্যস্ত মা

পাঁচ দুষ্কৃতী-সহ প্রেমিকেও অপরাধী বলে চিহ্নিত করেছে চুঁচুড়া আদালত।

Chunchura court finds wife guilty of killing husband

প্রতীকী ছবি

Published by: Subhankar Patra
  • Posted:June 24, 2025 7:07 pm
  • Updated:June 24, 2025 7:07 pm   

সুমন করাতি, হুগলি: প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা। পথের কাঁটা সরাতে দুষ্কৃতীদের সুপারি। সেই অপরাধ ঢাকতে বাড়িতে ডাকাতি ও ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ। বারো বছর পর নাবালক ছেলের বয়ানের ভিত্তিতে স্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করল চুঁচুড়া আদালত। সঙ্গে প্রেমিক ও পাঁচ দুষ্কৃতীকেও অপরাধী বলে চিহ্নিত করল আদালত। আগামী ২৬ জুলাই সাজা ঘোষণা।

Advertisement

২০১২ সালে ২৮ মার্চ পোলবা থানার পাটনা গ্রামে নিজের বাড়িতে খুন হন কৃষ্ণ মাল। স্ত্রী রিনা মাল অভিযোগ করেন, বাড়িতে ডাকাত পরেছিল। তাঁকে ও ছেলেকে হাত বেঁধে গয়না টাকা লুট করে ডাকাত দল। বাঁধা দিলে খুন করা হয় কৃষ্ণকে। দুষ্কৃতীরা তাঁকে ধর্ষণ করেছে বলেও অভিযোগ তোলে রিনা। পোলবা থানার পুলিশ তদন্তে নামে। উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

পুলিশ জানতে পারে, মৃত কৃষ্ণ মালের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী রিনার বয়সের ফারাক ছিল প্রায় কুড়ি বছরের। ঘটনার সময় তাঁদের সন্তানের বয়স ছিল বারো। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে সংসার সুখের ছিল না। বলাগড়ের জিকো পাল নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় রিনার। তখনই ‘পথের কাঁটা’ স্বামীকে সরাতে প্রেমিকের সঙ্গে খুনের পরিকল্পনা করে স্ত্রী। প্ল্যান মাফিক ঘটনার দিন ৫ দুষ্কৃতী গভীর রাতে কৃষ্ণ মালের বাড়িতে ঢোকে। দরজা খুলে দেন রিনাই। দুষ্কৃতীরা ডাকাতি করতে এসে গৃহকর্তাকে খুন করেছে সেই অভিযোগ করা হয়।

সেই বছরই ৪ এপ্রিল থেকে একে একে রিনা ও তাঁর প্রেমিক জিকো পালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপর জালে ধরা পড়ে খুনের সঙ্গে যুক্ত দীপঙ্কর পাল, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, লক্ষ্মীকান্ত চক্রবর্তী, অভিজিৎ চক্রবর্তী, রাজা দাস। রিনা গত ১৩ বছর ধরেই হুগলি জেলে বন্দি। চারজন দুষ্কৃতী মাঝে পুলিশের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে পালিয়ে গেলেও ফের ধরা পড়ে। প্রত্যেকের জেলবন্দি অবস্থায় শুনানি হয়েছে। সবাই এখনও বিভিন্ন জেলে বন্দি।

চুঁচুড়া আদালতের সরকারি আইনজীবী বিদ্যুৎ রায়চৌধুরী বলেন, “এই মামলায় মোট ১৮ জন সাক্ষী দেয়। তার মধ্যে ছিল মৃতের সেই সময় নাবালক থাকা ছেলেও। তাতেই প্রমাণিত হয় পরিকল্পনা করেই এই খুন। রিনা ধর্ষনের যে অভিযোগ তুলেছিল তাও মেডিক্যাল পরীক্ষায় প্রমাণ হয়নি।” আজ, মঙ্গলবার চুঁচুড়া আদালতের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক কৌস্তভ মুখোপাধ্যায় সাত জনকেই দোষী সাব্যস্ত করেন। আগামী ২৬ জুলাই সাজা ঘোষণা করা হবে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ