Advertisement
Advertisement
Burdwan University

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতির তদন্তে CID, ফিনান্স অফিসারকে দপ্তরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ

প্রায় ২ কোটি টাকা আর্থিক দুর্নীতির মামলা চলছে কলকাতা হাই কোর্টে।

CID questions finance officer of Burdwan University in case of 2 crores corruption case

ফাইল ছবি।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 27, 2025 11:48 pm
  • Updated:June 27, 2025 11:48 pm  

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: প্রায় ২ কোটি টাকা আর্থিক দুর্নীতির মামলায় এবার সিআইডি তদন্তের মুখে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ বিভাগের আধিকারিক সৌগত চক্রবর্তী। শুক্রবার বর্ধমানে সিআইডি কার্যালয়ে তলব করা হয়েছিল তাঁকে। সকল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা তাঁকে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য নিমাইচন্দ্র সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিআইডি। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে এদিন ফিনান্স অফিসারকেও তলব করলেন রাজ্য তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন রেজিস্ট্রার সুজিতকুমার চৌধুরীকেও ডাকতে চায় সিআইডি। তিনজনকে মুখোমুখি বসিয়ে সিআইডি প্রশ্নোত্তর পর্ব চালাতে পারে বলে সূত্রের খবর। আগামী ৩০ জুন কলকাতা হাই কোর্টে শুনানি রয়েছে এই মামলার। তার আগেই সন্দেহভাজন আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে উচ্চ আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে চাইছে সিআইডি।

সূত্রের খবর, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য নিমাইচন্দ্র সাহা সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছিলেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা ভাঙিয়ে অন্য অ্যাকাউন্টে পাঠানোর বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। পুরো বিষয়টি জানেন ফিনান্স অফিসার। শুক্রবার পেমেন্ট অ্যাডভাইসারি নোটের প্রসঙ্গেও সিআউডির আধিকারিকরা ওই অফিসার সৌগত চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বলে জানা গিয়েছে। তদন্তকারীরা এদিন তাঁকে প্রশ্ন করেন, ২০২৩ সালের ৩০ মার্চ তাঁর অফিস ৪৪৯৫ মেমো নম্বরে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে একটি চিঠি গ্রহণ করেছিল। যেখানে ব্যাঙ্ক ফিনান্স অফিসারকে উদ্দেশ্য করেই চিঠি পাঠিয়েছিল। সেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল, কোন দিন কোন তারিখে কত নম্বরের ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা তোলা হয়েছে এবং তা কার অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। এরপরেও তিনি কোনও ব্যবস্থা নেননি কেন? কেন তিনি স্থানীয় থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি?

সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রশ্নের উত্তরে সৌগত চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এই চিঠির বিষয়ে তিনি কিছুই নাকি জানতেন না। চিঠি রিসিভ সেকশন নিয়েছিল। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে এই চিঠি কোন উদ্দেশ্যে চেপে দেওয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে একথাও সৌগত চক্রতর্বী সিআইডিকে জানিয়েছেন তাঁর ও রেজিস্ট্রারের সই জাল করে টাকা তোলা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার জন্য যে এসএমএস পাঠানো হয় সেটা কার ফোন নম্বরে এসেছিল? এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। এই দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযু্ক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স বিভাগেরই কর্মী ভক্ত মণ্ডলের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথাও অস্বীকার করেছেন অফিসার সৌগত চক্রবর্তী। এদিন এক সহকর্মীর বাইকে চেপেই সিআইডির অফিসে হাজিরা দেন ফিনান্স অফিসার। তবে তাঁকে বারবার প্রশ্ন করা হলেও তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও মন্তব্য করেননি।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement