Advertisement
Advertisement

সিভিক ভলান্টিয়ারদের ‘দাদাগিরি’ রুখতে লাঠি কাড়ার নির্দেশ

সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য জারি হল একগুচ্ছ বিধি।

"Civic Volunteers have to maintain few rules" said by the government
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 22, 2018 4:47 am
  • Updated:January 22, 2018 4:47 am   

ব্রতদীপ ভট্টাচার্য: যানশাসন-এর নামে জনশাসন। শৃঙ্খলারক্ষার নামে সরকারি ক্ষমতার ধ্বজা উড়িয়ে বেপরোয়া দাদাগিরি। সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগেই যার চরম পরিণতি দেখেছে মধ্যমগ্রাম। ‘সিভিক’-দের এই বেপরোয়া অভ্যাসে রাশ টানতে তৎপর হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ। জেলার পুলিশ সুপার একটি নির্দেশিকায় জানিয়ে দেন, ট্রাফিক ডিউটির সময় কোনও লাঠি ব্যবহার করতে পারবেন না সিভিক ভলান্টিয়াররা। হেলমেট, সিটবেল্ট, গাড়ির নথি-র মতো অন্যান্য ট্রাফিক নিয়মের বিষয়গুলি পুলিশকর্মীরাই দেখবেন। সিভিক ভলান্টিয়াররা কোনও গাড়ি আটকাতে অথবা ‘কেস’ দিতে পারবেন না। নিয়ম ভাঙলে গাড়ি আটকানোর কাজ হবে ট্রাফিক কনস্টেবলের, আর জরিমানা করবেন ট্রাফিক অফিসাররা। শুধু সুষ্ঠু যান চলাচলের উপরই নজর রাখবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা।

Advertisement

[ফুরফুরে মেজাজ, আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে নাচের তালে পা মেলালেন অনুব্রত]

সিভিক ভলান্টিয়ারদের উদ্ধত আচরণের অভিযোগে ক্ষোভ দীর্ঘদিনের। শনিবার মধ্যমগ্রামে সিভিক ভলান্টিয়ারের মারে সৌমেন দেবনাথ নামে এক বাইক আরোহীর মৃত্যুর অভিযোগ তাতে ঘৃতাহুতি দিয়েছে। দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত সেই জনরোষ আছড়ে পড়লে তা সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশ, প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃত্বকে। অবশেষে হুঁশ ফিরেছে প্রশাসনের। সিভিক ভলান্টিয়ারদের হাতে দেওয়া অলিখিত সেই ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এদিন জেলা পুলিশের অধীনস্থ থানাগুলিতে একটি কর্মশালা করে সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিষয়গুলি জানিয়ে দেন থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। যদিও পুলিশের দাবি, এই ব্যবস্থা নতুন নয়। আগাগোড়াই এই নিয়ম রয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে এই ধরনের কর্মশালা নিয়মিত হয়।” শনিবারের জনরোষের কারণে এদিন মধ্যমগ্রাম এলাকায় কোনও সিভিক ভলান্টিয়াদের দেখা যায়নি । যার জেরে সমস্ত থানায় কর্মশালা হলেও, মধ্যমগ্রামে কোনও কর্মশালা করা যায়নি।

[অভিনব উদ্যোগ, প্রবীণদের হাতেখড়ি দিয়েই আরাধনা বাগদেবীর]

অন্যদিকে ‘সিভিক ভলান্টিয়ারের মারে মৃত’ সৌমেন দেবনাথের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রবিবার দেখা করতে গিয়েছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়  মল্লিক। সৌমেনবাবুর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। এদিন মৃতের মেয়ে স্নেহা দেবনাথ প্রশ্ন তোলেন, “বাবাকে মারধর করার সময় আরও কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ারও ছিল। তাদের পুলিশ কেন ধরছে না?” এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়রের মন্তব্য, “তদন্ত চলছে, কেউ জড়িত থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” যার মারে সৌমেন দেবনাথের মৃতু্য হয়েছে, সৌমেন রায় নামে সেই সিভিক ভলান্টিয়ারকে এদিন বারাসত আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক তাকে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস