Advertisement
Advertisement
অধ্যাপক নিগ্রহ

অধ্যাপক নিগ্রহ কাণ্ডে ক্ষমাপ্রার্থনা তৃণমূল নেতার, মুখ্যমন্ত্রীর ফোন আক্রান্তকে

হাতজোড় করে ক্ষমা চাইলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব।

CM Mamata Banerjee called professor Subrata Chatterjee
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:July 25, 2019 2:52 pm
  • Updated:July 25, 2019 2:52 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোন্নগর হীরালাল পাল কলেজে অধ্যাপক নিগ্রহের ঘটনা এবার নতুন দিকে মোড় নিল। আক্রান্ত অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করে দুঃখপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া অধ্যাপকের কাছে ক্ষমা চাইতে কলেজে পৌঁছন হুগলি জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দিলীপ যাদব। ইতিমধ্যেই কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ২৩ মাস পর মনুয়াকাণ্ডে রায় ঘোষণা আদালতের, দোষী সাব্যস্ত মৃতের স্ত্রী ও প্রেমিক ]

বুধবার হীরালাল পাল কলেজের অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে রাস্তায় ফেলে মারধর করার অভিযোগ ওঠে টিএমসিপির বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে গতকাল থেকেই পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত। এর মাঝে নিগৃহীত অধ্যাপককে ফোন করে দুঃখপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অধ্যাপককে তিনি বলেছেন, কোনওরকম অসুবিধা হলে তিনি যেন মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন। রাজ্যের তরফে সব রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব কলেজে যান। অধ্যক্ষ শ্রীকান্ত সামন্তের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষালও। কলেজের অধ্যক্ষ ও নিগৃহীত অধ্যাপকের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চান তাঁরা।

তবে ঘটনার যবনিকাপাত এখানে হয়নি। গতকালের ঘটনার কারণে আজ, বৃহস্পতিবার ক্লাস বয়কট করেন অধ্যাপকরা। দোষীদের শাস্তির পাশাপাশি তাঁদের দাবি এইসব ক্যাজুয়াল স্টুডেন্টদের কলেজে ঢুকতে দেওয়া চলবে না। কিন্তু মনে করা হচ্ছে আগামিকাল তাঁরা বয়কট তুলে নেবেন। তবে স্থানীয় কাউন্সিলর এবং বহিরাগতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হল কিনা, সেদিকে তাঁরা নজর রাখবেন।

বুধবার ছাত্র সংঘর্ষকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোন্নগর হীরালাল পাল কলেজ প্রাঙ্গণ। অভিযোগ, টিএমসিপির সদস্যরা এমএ-র ছাত্রী শিউলি ঘোষকে চড় মারে। ঘটনার প্রতিবাদ জানান ২৬ জন ছাত্রী। কিন্তু ফল হয় বিপরীত। টিএমসিপি কলেজের গেট বন্ধ করে দিয়ে ছাত্রীদের কলেজের মধ্যে আটকে রাখে বলে অভিযোগ। এছাড়া তৃণমূল পরিচালিত ছাত্র সংসদের ছাত্রছাত্রীরা দাবি করে এমএ-র ছাত্রীদের ‘তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ’, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ’ বলতে হবে। এতে ছাত্রীরা তীব্র প্রতিবাদ জানান। এরপরই ছাত্রীদের কলেজে আটকে রাখা হয়। কলেজেরই অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় ঘটনার মধ্যস্থতা করতে যান। অভিযোগ, টিএমসিপির সদস্যরা কলেজের গেটের সামনে তাঁকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করেন। মারের চোটে সুব্রতবাবুর কপাল কেটে যায়। মুখে আঘাত লাগে।

[ আরও পড়ুন: সন্তান কাণ্ডে নয়া মোড়, স্বামীকে ফেলে মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গেল স্বপ্না ]

বুধবার কলেজের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ঘটনায় দুই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার হুগলির কোন্নগর হীরালাল পাল কলেজে কয়েকজন ছাত্রীকে আটকে রেখেছিল টিএমসিপি ছাত্র সংসদ। বাংলার অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় মধ্যস্থতা করতে যান। তাঁকে মাটিতে ফেলে পেটানো হয়। রাতে সন্দীপ পাল ও বিজয় সরকার নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিন ধৃতদের আদালতে তোলা হয়।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ