সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বেহাল দশা উত্তরবঙ্গে। বৃষ্টি, ধসে পথঘাট ভেঙে গিয়েছে। সেতু ভেঙে বিচ্ছিন্ন পাহাড়ের একাধিক জনপদ। পরিস্থিতি পরিদর্শনে ইতিমধ্যেই বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নাগরকাটার পর মঙ্গলবার তিনি চলে যান মিরিক। দুপুরে মিরিকের দুধিয়ার ত্রাণশিবিরে পৌঁছে সেখানকার মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন, ধসে ভেঙে যাওয়া রাস্তাগুলি আগে মেরামত করতে হবে। তার জন্য ১৫ দিন সময় বেঁধে দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে দার্জিলিং-মিরিক সংযোগকারী ভেঙে পড়া দুধিয়া ব্রিজ সংস্কারে পদক্ষেপ করা হয়েছে। কাজ কতটা এগিয়েছে, তাও খতিয়ে দেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া দুর্গতদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য সবদিক নজরে রাখতে হবে। কমিউনিটি কিচেন আপাতত একমাস চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ক্যাম্পের বাইরে বেরিয়ে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের হাতে প্রতিশ্রুতিমতো তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নেওয়া এক তরুণীর কাছে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর শরীরের ক্ষত পরীক্ষা করে দেখেন। মাথায় সামান্য ফোলা ছিল তাঁর। মুখ্যমন্ত্রী তরুণীর সঙ্গে কথা বলে জানতে চান, কীভাবে আঘাত লাগল। পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ওই তরুণী ধসের কবলে পড়েছিলেন। তাই তাঁর শরীরে আঘাত। ক্যাম্পে যাতে ঠিকমতো চিকিৎসা পান তিনি, তা নিয়ে বারবার জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বিপর্যয়ে মাথার ছাদ হারিয়েছেন অনেকে। বহু গুরুত্বপূর্ণ নথিও জলে চলে গিয়েছে। আধার, ভোটার, প্যান কার্ডের মতো সেসব জরুরি নথি দ্রুত তৈরি করে দিতে হবে, এই মর্মে জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে তাঁর প্রতিশ্রুতি, ভাঙা ঘরবাড়ি সব রাজ্য সরকার বানিয়ে দেবে।
উত্তরবঙ্গের এই বিপর্যয়ের জন্য ফের ভুটানের বৃষ্টিকে দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ”ভুটান পাহাড়ের জলে এতটা বিপর্যয় হয়। শুনছি, নেপাল, ভুটান থেকেও কয়েকটা দেহ এখানে এসেছে।আমি মুখ্যসচিবকে বলেছি, এটা নিয়ে ওদের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেহগুলি পূর্ণ মর্যাদায় তাদের তুলে দিতে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.