বাবুল হক, মালদহ: গত ২ দিন ধরে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। শুক্রবার সকালে মহানন্দা নদীর জলের ভেসে উঠল এক কলেজ ছাত্রের দেহ। ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহ শহরে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ধারাল কোনও অস্ত্রের আঘাতে মৃতের মুখটি ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিল। জিভও কাটা ছিল। ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ওই ছাত্রকে খুন করে মহানন্দায় ফেলে দেওয়া হয়েছে।
[হেঁচকির জ্বালায় হাসপাতালে নববধূ, পণ্ড হল বউভাত]
মৃত ছাত্রের নাম বিশ্বজিৎ চৌধুরি। বাড়ি পুরাতন মালদার মহানন্দ লাগোয়া সাহাপুরের ঘোষপাড়ায়। গৌড় কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল বিশ্বজিৎ। এলাকায় ভাল ছেলে ও মেধাবী ছাত্র হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, বুধবার সকালে বাড়ি থেকেই প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। কিন্তু, আর বাড়ি ফেরেননি বছর একুশের ওই তরুণ। দিনভর বিস্তর খোঁজাখুজি করেন বাড়ির লোকেরা। ছেলে কোনও খোঁজ না পেয়ে, রাতে পুরাতন মালদা থানায় বিশ্বজিতের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁরা। শুক্রবার সকালে মালদহ শহরের উত্তর বালুচরের শ্মশানঘাট এলাকায় মহানন্দা নদীতে বিশ্বজিতের দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় ইংরেজবাজার থানায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিশ্বজিতের মুখটি ক্ষত-বিক্ষত করে দেওয়া হয়েছে। তাঁর জিভটিও কাটা ছিল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।
[ডাইনি! মাতব্বরদের ফতোয়ায় গাজোলে পুজোয় ব্রাত্য মহিলারা]
এদিকে ছেলের এভাবে মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন বাড়ির লোকেরা। তাঁদের অভিযোগ, বিশ্বজিৎকে খুন করে মহানন্দায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। মৃত ছাত্রের বাবা অসীম চৌধুরি বলেন, ‘কারও সঙ্গে ছেলের শত্রুতা ছিল না। আমার সহজ সরল ছেলেটাকে কেউ এভাবে খুন করবে তা ভাবতেই পারছি না।‘
[পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতাল গোঘাটে, তাণ্ডবে তটস্থ গ্রামবাসীরা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.