স্টাফ রিপোর্টার, হাওড়া: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা করে সরকারি অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করা ইস্তক বিরোধিতায় সরব বিজেপি। অথচ নথি সাক্ষী, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক দুর্গাপুজো কমিটির শীর্ষে থাকা বিজেপি নেতারা নির্দ্বিধায় সরকারি সেই অনুদান হাত পেতে নিচ্ছেন।
দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জের পর এবার বিজেপির নেতাদের ওই দ্বিচারিতা প্রকাশ্যে এল হাওড়ায়। হাওড়ার দু’টি ক্লাবের দুর্গাপুজো কমিটিরই মাথায় রয়েছেন দুই বিজেপি নেতা। সেই পুজো কমিটিগুলির একটি ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের পুজো অনুদানের টাকা নিয়ে নিয়েছে। অপরটি ক্লাবটি অনুদানের টাকা নেবে বলে স্পষ্ট জানিয়েছে।
হাওড়ার এই দুটো দুর্গাপুজো কমিটির মধ্যে একটি হল বেলিলিয়াস রোডের ‘যুগ্ম ক্লাব কর্মীচক্র’। এই ক্লাবের পুজো কমিটির সভাপতি বিজেপির রাজ্যস্তরের নেতা সঞ্জয় সিং। অন্যান্যবারের মতো এ বছরও এই ক্লাবের তরফে হাওড়া থানা থেকে সরকারি অনুদান ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। তিনি নিজে পুজো কমিটির শীর্ষে থাকা সত্ত্বেও কেন এই দ্বিচারিতা। এই প্রসঙ্গে সঞ্জয় সিং বলেন, “আমি ক্লাবের দুর্গাপুজো কমিটির পদে থাকলেও এখন প্রত্যক্ষভাবে পুজোর সঙ্গে যুক্ত নই। ক্লাবের অন্যান্যরাই সব দায়িত্ব সামলান। পুজো কমিটি টাকা নিয়েছে কি না, তা আমায় জেনে বলতে হবে। এমনকী ওই ক্লাবে পুজো এ বার কত বছরে পা দিয়েছে সেটাও আমি বলতে পারব না। সবটাই আমাকে জেনে বলতে হবে।”
অপর পুজো কমিটি হল দাশনগরের আড়পাড়া এ পি জে ক্লাব। এই ক্লাবের দুর্গাপুজো কমিটির আহ্বায়ক হলেন বিজেপির শিবপুরের মণ্ডল যুব সভাপতি সন্দীপ মাল। এ বছর এই পুজো কমিটি ২১ বছরে পা দিল। এখনও সরকারি অনুদানের ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা না পেলেও দাশনগর থানা থেকে চেক বিলি হলে তারা সেই টাকা নেবেন বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন সন্দীপবাবু। বিজেপি নেতা হয়েও পুজো কমিটির তরফে কেন টাকা নেবেন? এই প্রসঙ্গে মণ্ডল সভাপতি সন্দীপবাবুর সাফাই, “এটা তো কারও ব্যক্তিগত টাকা নয়, সরকারি টাকা, জনগণের টাকা, পুজোর জন্য সেই টাকা নেব না কেন?” কাজেই চুলোয় যাক তথাকথিত অনুদান বিরোধিতা, ফের বেআব্রু বিজেপি নেতাদের দ্বিচারিতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.