Advertisement
Advertisement
Palta

পলতায় বাড়ি দখলের চেষ্টা! রাতে সশস্ত্র দুষ্কৃতীর ‘হামলা’, আতঙ্কে মা-মেয়ে

অনেকদিন ধরেই মা-মেয়েকে ওই জমি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

complaint Criminal 'Attack' in Palta
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:December 18, 2024 3:42 pm
  • Updated:December 18, 2024 4:54 pm   

অর্ণব দাস, বারাকপুর: মঙ্গলবার রাতে পলতার নেতাজি পল্লি এলাকার এক বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল ১৫-২০ জন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। শাবল, লোহার রড দিয়ে বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য এই হামলা বলে দাবি করেছেন সদস্যরা। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন সদস্যরা। ঘটনায় লেগেছে রাজনৈতিক রং। বিজেপির অভিযোগ ওই বাড়ি দখল করতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে। যদিও শাসক দলের দাবি, দুষ্কৃতীরা কোনও দলের হয় না। পুলিশ যথপোযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ওই এলাকায় বসবাস করছেন মমতা সরকার ও তাঁর মেয়ে পিকু সরকার। মমতার স্বামী পাশের মিলে কাজ করতেন। সেই সূত্রেই তাঁদের এখানে বসবাস। টিন, টালির তৈরির ঘরে থাকেন তাঁরা।

মমতার অভিযোগ, অনেকদিন ধরেই তাঁদের ওই জমি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। একবার বিদ্যুৎ সংযোগের তাড়ও কেটে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার রাতে আচমকা বাড়ি ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। মমতাদেবীর কথায়, “আমি ও মেয়ে ঘরে বসে টিভি দেখছিলাম। হঠাৎ অনেক পায়ের শব্দ পাই। কিছু বুঝে ওঠার আগেই কোদাল, শাবল দিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায় ওরা। বাইরে এসে দেখি ১৫-২০ জনের দল হাতে অস্ত্র নিয়ে হামলা করছে। বাঁচাও, বাঁচাও বলে চিৎকার করি। আশেপাশের লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।” পিকু বলেন, “আমার বাবা এই পাশের মিলে কাজ করতেন। কিছুদিন ধরেই বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি আসছে। মঙ্গলবার রাতে ওরা হামলা চালায়। বাধা দিয়েও থামাতে পারিনি। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে ওরা পালিয়ে যায়।”

এই ঘটনার পিছনে তৃণমূল ও পুলিশের যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলেছে এলাকার প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। তিনি বলেন, “ওই এলাকায় গরিব মানুষদের বাস। থানার এক সাব ইন্সপেক্টর টাকা নিয়ে ওই এলাকা খালি করার দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছেন। কার কাছে অভিযোগ জানাবেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পুলিশ কমিশনারের কাছে। কোনও লাভ হবে না। বাংলার বিভিন্ন জায়গায় এই গুন্ডাবাজ তৈরি হয়েছে।” উত্তর বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় ঘোষ বলেন, “আমি শহরের বাইরে ছিলাম। ঘটনার কথা জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখব। বলে রাখি দুষ্কৃতী কোনও দলের হয় না। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলেন। ওই পরিবার পুলিশে জানালে প্রশাসন যথোপোযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। আইন আইনের পথে চলবে।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ