Advertisement
Advertisement
Bongaon

পঞ্চায়েতের বকেয়া না মেটালে জুটবে না বিধবা ভাতা! বনগাঁর দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বিতর্ক

যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

Controversy on allowing widow grant in bongaon Duare Sarkar camp

চলছে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। নিজস্ব চিত্র

Published by: Suhrid Das
  • Posted:January 29, 2025 6:06 pm
  • Updated:January 29, 2025 6:06 pm  

জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: দুয়ারে সরকার প্রকল্প চলছে রাজ্যজুড়ে। সেখানে তাল কাটল বনগাঁ গোপালনগর এলাকায়। পঞ্চায়েতের বকেয়া কর না মেটালে দুয়ারে সরকারের সুবিধা পাওয়া যাবে না। বুধবার এমনই অভিযোগ উঠল বনগাঁ ব্লকের গোপালনগর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে।

দুয়ারে সরকার প্রকল্পে সরকারি পরিষেবা পেতে গেলে আগে পঞ্চায়েতের কর মেটাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। গোপালনগর হরিপদ ইন্সটিটিউশনে দুয়ারে সরকার শিবির চলছে। পঞ্চায়েতের আধিকারিকরা টেবিল পেতে বসে বাসিন্দাদের কাছ থেকে বকেয়া নিচ্ছেন। সেখানেও বাসিন্দাদের লম্বা লাইন দেখা যায়। আর সেখান থেকেই উঠেছে বিতর্ক। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কর না মেটালে এই পরিষেবা পাওয়া যাবে না। বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা-সহ যে সব পরিষেবা পেতে পঞ্চায়েতের শংসাপত্র লাগে, সেজন্য আগে কর দিতে হচ্ছে। করের রশিদ দেখালে মিলবে পঞ্চায়েতের শংসাপত্র।

এই ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া বলেন, “এটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প। দুয়ারে সরকারে আমজনতার অভিযোগ শোনার জায়গা। তাঁদের চাহিদা পূরণ করার জায়গা। কিন্তু আমরা দেখছি গোপালনগর ১ পঞ্চায়েতের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে কর জমা নেওয়া হচ্ছে। ওই কর না দিলে আবেদন করতে পারবেন না।” তাঁর প্রশ্ন, “কর সংগ্রহের জন্যই কি তৃণমূল ফাঁদ পেতেছে?” অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত প্রধান মুক্তি হালদার বলেন, “বিরোধীরা ভুল প্রচার করছেন। অনেকের অনুরোধে ক্যাম্পের পাশে ট্যাক্স নেওয়ার একটি জায়গা আছে, যারা মনে করছেন, বকেয়া কর জমা দিচ্ছেন।”

স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই পঞ্চায়েতে গিয়ে কর জমা দিতে পারেননি। দুয়ারে সরকারের আশেপাশে ক্যাম্প থাকলে সেই বকেয়া কর তাঁরা জমা দিতে পারবেন। সে কারণেই এই ব্যবস্থা করা হয় বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। তবে বনগাঁর সাংগঠনিক তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানান, বিষয়টি খোঁজখবর করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ সত্য প্রমাণ হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement