Advertisement
Advertisement
Shantipur

দেখভাল করে না সরকারি চাকুরে ছেলে-বউমা! আবাসের বাড়ি পেলেন বৃদ্ধ দম্পতি

এই ঘর পাওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

Controversy over getting house in banglar bari project in Shantipur

নির্মীয়মাণ ঘরের সামনে বৃদ্ধা। নিজস্ব চিত্র

Published by: Suhrid Das
  • Posted:June 3, 2025 5:28 pm
  • Updated:June 3, 2025 6:27 pm  

সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: ছেলে চাকরি করেন রেলে। বউমা স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মী। সেই পরিবারই পেয়েছে বাংলার বাড়ি। ঘর তৈরির কাজও প্রায় সম্পূর্ণ হওয়ার পথে। এই আবাসের ঘর পাওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। সেই হিসেবে বিডিওর কাছে অভিযোগও দায়ের হয়েছে। যদিও জন্মদাত্রী মায়ের দাবি, ছেলে-বউমা বাড়িতে থাকতে, খেতে দেয় না। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরের নবলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বসাক পাড়া এলাকায়।

Advertisement

ওই এলাকার বাসিন্দা মন্টু বসাক। তাঁর নাম বাংলার বাড়ি প্রকল্পের তালিকায় রয়েছে। বাড়ি তৈরির কাজও চলছে। সেখানেই ঘটেছে বিতর্ক। কারণ, তাঁর ছেলে রেলে চাকরি করেন। শুধু তাই নয়, পুত্রবধূ রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মী। সরকারি নিয়মে কোনও সদস্য সরকারি চাকরি করলে, সেই পরিবার সরকারি প্রকল্পে বাড়ি পাবেন না। এক্ষেত্রে কীভাবে ওই পরিবার বাড়ি পেল? সেই প্রশ্ন উঠেছে। ওই এলাকার বাসিন্দা পলাশ দাশ শান্তিপুরের বিডিওর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বলে খবর। তিনি বলেন, “সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ঘর পেয়েছে ওই পরিবার। যে পরিবারে দু’জন চাকরি করে, সেই পরিবার কীভাবে সরকারি ঘর পেতে পারে?” এর সঙ্গে আর্থিক দুর্নীতি জড়িয়ে আছে বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে মন্টু বসাকের স্ত্রী অঞ্জলি বসাক বলেন, “আমরা স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকি। আর ছেলেরা আলাদা থাকে। ছেলে আমাদের খেতে দেয় না। আমরা তাঁত বুনে সংসার চালাই।” বৃদ্ধার আরও দাবি, “মানুষ হিংসা করেই এই অভিযোগ করেছেন।” এ বিষয়ে ওই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী তথা তৃণমূল নেতা স্বদেশ দাস বলেন, “যারা মূলত ঘর পাওয়ার যোগ্য, সেই একটি তালিকা আমি বিডিও অফিসে জমা দিই। তার ভিত্তিতেই বিডিওর প্রতিনিধি দল অনুসন্ধান করে। যোগ্যদের ঘর দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।” শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূল নেতারা যা নির্দেশ দিচ্ছেন, বিডিওর প্রতিনিধি দল তা করতে বাধ্য হচ্ছেন। যোগ্যরা ঘর পাচ্ছেন না। আর অযোগ্যরা টাকার বিনিময়ে ঘর পেয়ে যাচ্ছেন। আমরা তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।” তদন্ত না করে কোনও কিছু বলা যাবে না। সেই কথা জানিয়েছেন শান্তিপুর ব্লকের বিডিও সঞ্জীব ঘোষ।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement