Advertisement
Advertisement
বর্ধমান-দুর্গাপুর

নির্বাচনী এজেন্ট বাছাই নিয়ে দলীয় কোন্দল, বর্ধমান-দুর্গাপুরে ক্ষোভের মুখে কংগ্রেস প্রার্থী

ক্ষোভের আঁচ অনুভব করেন স্বয়ং এই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী রণজিৎ মুখোপাধ্যায়।

Controversy over selection of election agent at Burdwan-Durgapur
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:April 16, 2019 4:54 pm
  • Updated:June 3, 2019 7:36 pm  

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: প্রচারে নেই। কিন্তু কোন্দলে আছে। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের বিবাদ তুঙ্গে। এবার প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট নিয়ে জেলা সভাপতি নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ভোটের কয়েকদিন আগে এজেন্ট নিয়ে দলের মধ্যেই দ্বিধাবিভক্ত কংগ্রেস। এই কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণার পর থেকে অন্তত দুর্গাপুরের মানুষ প্রার্থীকে চাক্ষুষ করতে পারেননি। কংগ্রেসের একাংশের দাবি, প্রার্থী দুর্গাপুরে এসে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করছেন কিন্তু ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন না। তাতে ক্ষোভও বাড়ছে দলের নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে। ক্ষোভের আঁচ অনুভব করেন স্বয়ং এই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী রণজিৎ মুখোপাধ্যায়। তা কমাতে গিয়ে উলটে আরও বাড়িয়ে ফেললেন প্রার্থী নিজেই। বর্ধমান–দুর্গাপুর লোকসভায় কংগ্রেসের নির্বাচনী এজেন্ট করেন জেলার প্রাক্তন সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তীকে। ফের শুরু হয়ে যায় তীব্র কোন্দল। এমনিতেই দলে বর্তমান ও প্রাক্তন সভাপতির মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রথম থেকেই। নির্বাচনী এজেন্ট ঘোষণার পর সেই দ্বন্দ্ব আরও প্রবল আকার ধারণ করেছে।

Advertisement

দলের নিচুতলার কর্মীদের সঙ্গেও এখনও পরিচিত হতে পারেননি প্রার্থী। বর্তমান সভাপতির ব্যর্থতার জন্যেই দলীয় প্রার্থীর দুর্গাপুরে এই হাল বলে কর্মীদের অভিযোগ। তাই দায়িত্ব পূর্বতনকে। এই ব্যাপারে দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি ও বর্তমানে প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট দেবেশ চক্রবর্তী জানান, “প্রার্থী অনেকদিন ধরেই এই দায়িত্ব দিতে চাইছিলেন। নেতৃত্বও আমাকে এই দায়িত্ব নিতে বলেন। দীর্ঘদিন নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে আমাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দলে প্রার্থীই সব। আমি আমার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করব।” শুধু নির্বাচনী এজেন্টই নয়, অতিরিক্ত দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে দেবেশবাবুকে। দুর্গাপুর পূর্ব ও পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের সংগঠনের দায়িত্বও তাকে দেওয়া হয়েছে প্রার্থীর তরফ থেকে। আর এতেই চটেছে সভাপতি গোষ্ঠী।

এই ব্যাপারে কংগ্রেসের বর্তমান জেলা সভাপতি তরুণ রায় জানান, “এই ব্যাপারে আমার সঙ্গে আলোচনা হয়নি। প্রার্থীও এই নিয়ে কোন আলোচনা করেননি। আমার মত না নিয়েই নির্বাচনী এজেন্ট ঘোষণা করা হয়েছে। প্রার্থী নিশ্চয়ই ভাল মনে করেছেন তাই করেছেন।” দলীয় এই কোন্দল অজানা নয় প্রার্থী রণজিৎ মুখোপাধ্যায়ের কাছেও। তিনি বলেন, “সকলের সঙ্গে পরামর্শ নিয়েই নির্বাচনী এজেন্ট ঠিক করা হয়েছে। ঐক্যবদ্ধভাবেই ভোটে লড়বে কংগ্রেস।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement