শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: বিধায়কের পর এবার বেফাঁস তৃণমূলের উপপ্রধান। ১০ মিনিটে গ্রাম উড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন চোপড়ার (Chopra) হফতিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। লিখিত অভিযোগ পেলেই সাংগঠনিক পদ্ধতিতে অভিযুক্তের শাস্তির হবে, জানিয়েছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যায়, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ব্লকের হফতিয়াগছ পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান সাকির আহমেদ। একটি ঘরে তার সঙ্গে বসে বেশ কয়েকজন। বেশ আড্ডার মেজাজে সকলে। সেখানেই সাকির আহমেদকে বলতে দেখা যায়, “এত বোমা-বন্দুক মজুত করা আছে, ফতেয়াবাদ গ্রামের সব বাড়ি উড়িয়ে দেব ১০ মিনিটে ।” এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই নিন্দার ঝড় ওঠে। মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে ওয়াকিবহল মহল।
কিন্তু কেন ফতেয়াবাদের বাড়ি-ঘর ধ্বংস করার কথা বলা হয়েছে? ফতেয়াবাদের বাসিন্দা চোপড়া ব্লক তৃণমূলের কোর কমিটির চেয়ারম্যান তাহের আহমেদ। তার সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকেই অশান্তি ছিল সাকিরের। মনে করা হচ্ছে, সেই অশান্তির পরিপ্রেক্ষিতেই এই মন্তব্য। এ বিষয়ে তাহের আহমেদ বলেন, “এগুলি কী হচ্ছে। এরপর বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যে কোনও সময় তো তাহলে বগটুই কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।” এ বিষয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল বলেন, “কে কোথায় কী বলছে তা নিয়ে আমার কোনও মাথাব্যাথা নেই। লিখিত অভিযোগ হলেই পদক্ষেপ করা হবে। দলের কর্মী যুক্ত থাকলে শাস্তি পাবে।”
বুধবার কর্মিসভায় পুলিশকে মারধরের নিদান দিয়েছিলেন চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান। তা নিয়ে তীব্র বিতর্কও হয়েছে। তার ২৪ ঘণ্টা পেরনোর আগেই এবার বেফাঁস হামিদুলেরই ঘনিষ্ঠ সাকির। উল্লেখ্য, এহেন ঘটনা এই প্রথম নয়। আগেও বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেতারা। তবে বরাবরই কড়া হাতে বিষয়টি সামলেছেন দলনেত্রী। কড়া পদক্ষেপও করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.