ফাইল ছবি।
অর্ণব দাস, বারাকপুর: বাড়িতে সারমেয় পোষা ও পথকুকুরদের খাওয়ানো নিয়ে অশান্তি থেকে সোজা হামলা! বেলঘরিয়ার যতীন দাস নগরে প্রতিবেশীদের হাতে এক দম্পতির আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ উঠল। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। যদিও দম্পতিকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রতিবেশীরা। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরের উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ।
বেলঘরিয়ার যতীন দাস নগরের বাসিন্দা ঘোষ দম্পতি। পরিবারের কর্তা সাগর ঘোষ পেশায় টেবিল টেনিসের কোচ। বেসরকারি সংস্থার কর্মী তাঁর স্ত্রী। তাঁরা সারমেয়প্রেমী বলে এলাকায় পরিচিত। দম্পতির বাড়িতে ১১টি দেশি কুকুর রয়েছে। নিজের বাড়িতে থাকা কুকুরদের খাওয়ানোর পাশাপাশি পথ কুকুরদেরও তারা খাবার দেন। দিনভর তাঁদের পোষ্যদের চিৎকারে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়, এই অভিযোগ তুলে নাকি গত কয়েকমাস ধরে দম্পতির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছিলেন প্রতিবেশীরা।
কিন্তু গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে এই ঝামেলা চরম আকার নেয়। জানা যাচ্ছে, ওই দম্পতি রাস্তার কুকুরদের বাড়ির সামনে ডেকে খাওয়াচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় ফের ঝামেলা হলে ওই দম্পতিকে মারধর করা হয়। থানায় এনিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন সাগর বসু। তিনি বলেন, “আমরা সন্তান স্নেহে কুকুরদের লালনপালন করি। সামর্থ্যমতো খাওয়াই। স্থানীয় বাসিন্দারা সম্প্রতি তিনটে কুকুরকে মেরে ফেলেছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। ফের আমাদের উপর হামলা করা হয়েছে। আমরা প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব।”
পালটা প্রতিবেশী রিঙ্কি দেবের দাবি, “আমরা কুকুর বিরোধী নই। কিন্তু সারাদিন কুকুরের চিৎকার, তাড়া করা, রাস্তায় কুকুরের মলমূত্র, দুর্গন্ধে আমাদের টেকা দায় হয়ে উঠেছে। ওই দম্পতিকে মারধর বা কুকুরকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ভিত্তিহীন।” এই প্রসঙ্গে স্থানীয় ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অজিতা ঘোষ জানিয়েছেন, “ওই রাস্তায় পুরসভার সাফাই কর্মীরাও ঢুকতে চায় না। আমরা বার বার এনিয়ে বলেও লাভ না হওয়ায় হাল ছেড়ে দিয়েছি।” সম্প্রতি দিল্লির পথকুকুরদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর এধরনের ঘটনা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলল নিঃসন্দেহে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.