Advertisement
Advertisement
Hooghly

মাঝরাতে আর্ত চিৎকার, তারপরই সব শেষ, যুগলের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার বৈদ্যবাটিতে

এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Couple allegedly murdered in Hooghly
Published by: Paramita Paul
  • Posted:July 3, 2025 10:46 am
  • Updated:July 3, 2025 2:14 pm  

সুমন করাতি, হুগলি: জোড়া দেহ উদ্ধার হুগলির বৈদ্যবাটিতে। যুগলের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার শ্রীরামপুর থানার পুলিশ।

৩৫ বছরের মণীশ ভাদুড়ি এবং ৩২ বছরের অপর্ণা মাঝি বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সীতারাম বাগান এলাকার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। গত তিনবছর ধরে সেখানেই থাকতেন তাঁরা। স্থানীয়রা জানান, রাত তিনটে নাগাদ চিৎকার শুনতে পান তাঁরা। তারপর ওই বাড়িতে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনে পড়ে আছে। একজন ঘরের মধ্যে এবং অন্যজন ঘরের বাইরে। যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন। রাজার বাগানে মণীশের বাড়ির লোককে খবর দেন প্রতিবেশীরা। তাঁরাই পুলিশ ডাকে। পুলিশ এসে উদ্ধার করে নিয়ে যায় শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে। চিকিৎসকরা দুজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।

জানা গিয়েছে, মণীশ একটি ঢালাই কারখানায় কাজ করতেন। অপর্ণা পরিচারিকা ছিলেন। তাঁরা একসঙ্গে থাকতেন। দুজনে সকালে কাজে বেরিয়ে যেতেন। রাতে বাড়ি ফিরত। কীভাবে মৃত্যু হল, তদন্তে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্তে আসেন চন্দননগর পুলিশের ডিসিপি শ্রীরামপুর অর্ণব বিশ্বাস, এসিপি শুভঙ্কর বিশ্বাস, শ্রীরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক। এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে তদন্ত চালানোর পর ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে যান পুলিশ কমিশনার অমিত পি জবলগি। খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু। ঘটনাস্থল থেকে দু’টি ছুরি, এক জোড়া জুতো-সহ বেশ কিছু তথ্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার সাথে একাধিক দুষ্কৃতী যুক্ত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement