Advertisement
Advertisement
Birati

শ্রীঘরে ছেলে, সম্মানহানির আশঙ্কায় আত্মঘাতী বাবা-মা

ট্রেনের ধাক্কায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যান দম্পতি।

Couple found dead in between Birati and Durganagar station

প্রতীকী ছবি

Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 16, 2025 7:59 pm
  • Updated:July 16, 2025 7:59 pm  

সুব্রত বিশ্বাস: অপরাধে অভিযুক্ত ছেলে। মাণিকতলা থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করার পরই বাবা-মায়ের সিদ্ধান্ত পৃথিবীতে বেঁচে থাকা আর নয়। যেমন ভাবনা, তেমনই কাজ। বছর ছেচল্লিশের স্ত্রী মণিকা দাসকে নিয়ে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন জগন্নাথ দাস। মঙ্গলবার রাতে বনগাঁ শাখার বিরাটি এবং দুর্গানগর স্টেশনের মাঝে এই আত্মহত‌্যার ঘটনায় চাঞ্চল‌্য ছড়ায়।

Advertisement

শিয়ালদহগামী ঠাকুরনগর লোকালের চালক জানিয়েছে, তাঁরা ওই ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন। বারাসত রেল পুলিশ তদন্তে নেমে জেনেছে, ছেলেকে মানিকতলা থানার পুলিশ গ্রেফতার করার পর এলাকায় সম্মান হানির আশঙ্কায় বাবা-মায়ের এমন সিদ্ধান্ত। মঙ্গলবার রাতে প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারা রেললাইনে ছিন্নভিন্ন দেহ দুটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। রেলপুলিশ মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। নিহতরা স্বামী-স্ত্রী বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটা আত্মহত্যা। রহস্য উন্মোচনে তাঁরা এলাকার লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। জানা গিয়েছে, অপরাধের অভিযোগে মানিকতলা থানার পুলিশ ছেলেকে গ্রেপ্তার করে। তারপরই পারিবারিক সম্মান ক্ষুন্নের আশঙ্কায় ভুগতে থাকেন তাঁরা। মৃতদের বাড়ি নিমতার প্রতাপগড়ে। রেলপাড়ের কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, সন্ধে সাতটার পর ট্রেন আসার অনেক আগে থেকেই স্বামী-স্ত্রী রেললাইনে হাত ধরাধরি করে দাঁড়িয়েছিলেন। সাড়ে সাতটা নাগাদ ডাউন ঠাকুরনগর লোকাল আসামাত্রই তাঁরা ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন। চালক এমার্জেন্সি ব্রেক কষলেও তাঁদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি। দু’জনের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ট্রেনের চাকায়। রাতেই রেল পুলিশ দেহ দু’টি সরিয়ে নিয়ে যায়। বুধবার ময়নাতদন্তে পাঠায়।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement