দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: করোনা সাড়াতে প্রথম থেকেই গোমূত্রে ভরসা রেখেছে হিন্দু মহাসভা। সেই কারণে ‘গোমূত্র পার্টি’র আয়োজনও করা হয়েছে। সেই পার্টি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ডানকুনিতে গোমূত্রের দোকান খুলে ফেললেন এক ব্যক্তি! সকাল থেকেই পসরা সাজিয়ে বসে পড়ছেন তিনি। যাতায়াতের পথে অনেকেই ঢুঁ মারছেন সেখানে।
ডানকুনিতে দিল্লি রোডে একটা টেবিলে গোমূত্র-গোবর নিয়ে বসে পড়েছেন শেখ মামুদ আলি। তাঁর ঝুলিতে গাই গরু, বকনা, জার্সি সবকিছুর মূত্রই রয়েছে। তবে দর আলাদা। গাই গরুর মূত্র লিটার প্রতি ৪০০ টাকা। বকনার মূত্র কিনতে দিতে হবে লিটার প্রতি ৫০০-তে। জার্সি গরুর মূত্র তুলনামূলক কম উপকারী, তাই সেটির দর কিছুটা কম, লিটার প্রতি ৩০০ টাকা। দর কষাকষি ঠিকঠাক হলে অনেকটা কমেই গোমূত্র পেয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা মাবুদ। তবে গোবরের একদর, কেজি প্রতি ৫০০ টাকা।
কিন্তু কেন এমন অদ্ভুত ব্যবসা? মামুদের কথায়, তাঁর বাড়িতে গরু রয়েছে। দুধের ব্যবসাও করেন। কিন্তু হিন্দু মহাসভার পার্টি দেখে তাঁর মনে হতে থাকে যে, গরুকে আরও কাজে লাগানো সম্ভব। এতে একে করোনার দাওয়াই পাবেন মানুষ আর অর্থপ্রাপ্তিও হবে তাঁর। এসব ভেবেই দিল্লি রোডে টেবিল পেতে বসে পড়েন মাবুদ। ক্রেতাও হাজির হয়ে যান। কেউ চেখে দেখেই ফিরে যান পরে আসবেন বলে। কেউ আবার ভক্তি ভরে গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে কিনেছেন গোমূত্রও। মাবুদের এই সিদ্ধান্তে খুশি দু’একজন ক্রেতা। এবিষয়ে হুগলির এক বিজেপি নেতা প্রবাদ আউড়ে বলেন, “বিশ্বাসে মেলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর। গোমূত্রে যদি করোনা সারে তা দেশবাসীর জন্যই ভাল।” মাবুদের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান তিনি। তবে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন হুগলির তৃণমূল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.