সম্যক খান, মেদিনীপুর: প্রয়াত অবিভক্ত মেদিনীপুরে জেলার প্রাক্তন সিপিএম সম্পাদক তথা প্রবীণ বামপন্থী নেতা দীপক সরকার। সোমবার রাত ১২টা নাগাদ মেদিনীপুর শহরে নিজের বাড়িতেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানা গিয়েছে। প্রয়াণকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। বার্ধক্যজনিত বেশ কিছু রোগে ভুগছিলেন। রাতে শৌচালয়ে যাওয়ার পর স্ট্রোক হয় তাঁর। বমি হয়। তারপর ধীরে ধীরে ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে।দলীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় ঘণ্টাখানেক তিনি পার্টি অফিসে ছিলেন। মঙ্গলবার তাঁকে শ্রদ্ধা জানাবেন দলের সদস্য, সমর্থকরা। দেহদানের মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হবে অন্তিম যাত্রা।
বঙ্গের বাম রাজনীতিতে দীপক সরকার বেশ বড়সড় নাম। মেদিনীপুর জেলা সংগঠন তৈরি থেকে উন্নয়নের কাজে তাঁর ভূমিকা তো আছেই, পরবর্তী সময়ে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতেও ছিলেন তিনি। শ্রমিক নেতা থেকে শিক্ষক সংগঠনের চেয়ারম্যান, সব ভূমিকাতেই দেখা গিয়েছিল তাঁকে। মেদিনীপুর কলেজে অধ্যাপনার সময়ে বাম রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। প্রায় ২৩ বছর সামলেছেন মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব। অবিভক্ত মেদিনীপুর এবং ভাগাভাগির পর পশ্চিম মেদিনীপুরে দলের এই পদে ছিলেন দীপক সরকার।
ইদানিং বয়সের কারণে তেমন সক্রিয় না থাকলেও দলীয় কার্যালয়ে নিয়মিত যাতায়াত ছিল প্রবীণ কমেরেডের। সোমবার সন্ধ্যায় ঘণ্টাখানেক বাড়ির কাছাকাছি পার্টি অফিসে গিয়ে কিছুটা সময়ও কাটিয়েছিলেন দীপক সরকার। কিন্তু বাড়ি ফেরার পর অসুস্থ বোধ করেন। রাত ১২টা ১০ নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। স্বভাবতই প্রবীণ বামপন্থী নেতার প্রয়াণে শোকের ছায়া বামপন্থী মহলে।
জেলা সিপিএম ও পরিবার সূত্রে খবর, মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করে গিয়েছেন দীপক সরকার। মঙ্গলবার সেই অনুযায়ী শেষকৃত্য হবে তাঁর। তার আগে অবশ্য প্রবীণ বামনেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে দেহ রাখা হবে দলের সদর পার্টি অফিসে। কলকাতা থেকে আসছেন দলের শীর্ষ প্রতিনিধিরা। শহর পরিক্রমা করে প্রবীণ কমরেডের দেহ নিয়ে যাওয়া হবে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। সেখানেই দেহদান হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.